বাংলাদেশে বসবাসরত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের শিশুদের আনুষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ দেয়ার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত পদ্ধতি এখনও নির্ধারণ করা হয়নি। মিয়ানমারের কারিকুলামেই এই শিক্ষা ব্যবস্থা পরিচালিত হবে।
জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত রোহিঙ্গা গণহত্যা রোধে মিয়ানমারকে কিছু করার আদেশ দেয়ার প্রায় এক সপ্তাহ পরে এই সিদ্ধান্ত এসেছে। রোহিঙ্গা বিষয়ে সরকার গঠিত জাতীয় টাস্কফোর্সের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রোহিঙ্গা বিষয়ক সেলের মহাপরিচালক মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা শিশুদের আনুষ্ঠানিক শিক্ষার সুযোগ দেয়ার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত পদ্ধতি এখনও নির্ধারণ করা হয়নি।’
‘এটুক বলতে পারি, রোহিঙ্গা শিশুদের মিয়ানমারের কারিকুলামে শিক্ষা দেয়া হবে। যাতে মিয়ানমারে ফেরার পরে তারা নিজেদের সেখানে খাপ খাইয়ে নিতে পারে’ বলেন এই মহাপরিচালক।
বাংলাদেশিদের সঙ্গে নয়, বরং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আলাদা করে তাদের শিক্ষার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান দেলোয়ার হোসেন।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পরে মিয়ানমারের সেনাদের হত্যাযজ্ঞ থেকে বাঁচতে প্রায় সাড়ে ৭ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। নুতন পুরাতন মিলিয়ে বর্তমানে শরণার্থী শিবিরগুলোতে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা মানবেতর পরিবশে বসবাস করছেন।
ইউনিসেফের হিসাব অনুযায়ী, ১৮ বছরের কম বয়সী প্রায় ৫ লাখ শিশু কক্সবাজারের আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে বসবাস করছে। এদের মধ্যে ৩ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশুর সংখ্যা ৩ লাখ।
ঢাকা ব্যুরো চীফ