চাঁদপুরের গ্রাম অঞ্চলে কৃষি জমিগুলো দিন, দিন ভরাট হয়ে যাওয়া এবং পুকুর কেটে ও ঝিল বানিয়ে মাছ চাষ করার প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়ায় কমে যাচ্ছে ফসলি জমি।
আগের দিনে কৃষকরা তাদের নিজ নিজ জমিতে বিভিন্ন ফসল আবাদ করলেও এখন যেনো সেই আবাদ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন অনেকে। চাঁদপুরের বিভিন্ন গ্রাম অঞ্চলে ঘুরে দেখা গেছে বড় বড় বিলের মাঝ খানে অনেকেই তাদের আবাদি জমি কেটে পুকুর কিংবা ঝিল বানাচ্ছেন।
কৃষি জমি কেটে সেখানে তারা ফসল না বুনে মাছ চাষ করছেন। বংশ বিস্তারের কারনে পরিবারের সদস্য বেড়ে যাওয়ায় আবার কেউ কেউ নিজ নিজ কৃষি জমি ড্রেজার দিয়ে ভরাট করে বাড়ি নির্মাণ করছেন। এর ফলে দিন, দিনই কমে যাচ্ছে আবাদ করার কৃষি জমিগুলো।
গত কয়েকদিন ধরে চাঁদপুর সদর উপজেলার ৯ নং বালিয়া, ১২ নং চান্দ্রা ইউনিয়ন, হানারচর ইউনিয়ন, হাইমচর উপজেলা, ফরিদগঞ্জ উপজেলা, আশিকাটি ইউনিয়ন, মতলব উপজেলা সহ বিভিন্ন গ্রাম অঞ্চলে ঘুরে দেখা গেছে যেখানে বিশাল বিশাল মাঠ জুড়ে শাক – সবজি কিংবা সবুজ ফসলের হাসি থাকা দরকার। সেখানে অধিকাংশ মাঠ ফসল বিহিন পড়ে আছে। মাঠের মাঝে মাঝে কৃষি জমি কেটে পুকুর কাটা হচ্ছে এবং অনেকে বাড়ি করার জন্য আট বেঁধে জমি ভরাট করছেন।
এর কারণ হিসেবে বালিয়া গ্রামের কৃষক মনির হোসেন, শাহাজাহান খান, বসু বেপারী, ইমান গাজী সহ একাধিক কৃষক বলেন, সেচ প্রকল্পের মাধ্যমে আবাদি জমিতে পানি দিতে না পারায় এবং পানি দেয়ার ব্যবস্থা না দেখায় তারা ফসল বোনা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। অন্যদিকে ফসল আবাদ করে সঠিক মূল্য না পাওয়ায় এবং নিজেদের পরিবারের সদস্য বেড়ে যাওয়ায় তাদের বাসস্থানের জন্য তারা এমন পথ বেছে নিয়েছেন।
যদি বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রাম আদালতের নিয়মে কোন কৃষি জমি কেটে পুকুর করার নিয়ম নেই। তা না জেনেই নিজেদের সুবিদার জন্য কৃষি জমি কেটে পুকুর এবং ঝিল বানিয়ে মাছ চাষ করছেন কৃষকরা। তাদের এমন সিদ্ধান্তে চাঁদপুরে কৃষি জমিতে মাছ চাষ ও ভরাট করার কারনে দিন দিনই বিলপ্তির পথে চলেছে ফসলি জমি।
প্রতিবেদক : কবির হোসেন মিজি, ২৩ জানুয়ারি ২০২০
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur