দক্ষিণ এশিয়ান গেমসের এবারের আসরটিকে বাংলাদেশের জন্য সম্ভাবনাময় হিসেবেই মনে করছেন ক্রীড়া বিশেষজ্ঞরা। পদক জয়ের সংখ্যায় আগের যেকোনো আসরকে ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রত্যয় নিয়েই নেপালে পাড়ি জমিয়েছে বাংলাদেশের ক্রীড়াবিদরা।
সেই মোতাবেক এরই মধ্যে দুটি স্বর্ণপদক জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ। আজ (মঙ্গলবার) আসরের তৃতীয় দিনে বাংলাদেশের হয়ে দ্বিতীয় স্বর্ণপদক জিতেছেন কুমিল্লার মোহাম্মদ আল আমিন ইসলাম। কারাতে ডিসিপ্লিনে পুরুষ বিভাগে ঊর্ধ্ব-৬০ কেজি শ্রেণিতে পাকিস্তানের প্রতিযোগীকে হারিয়ে সোনালি সাফল্য পেয়েছেন আল আমিন।
ফাইনালে পাকিস্তানের জাফরকে ৭-৩ পয়েন্টে হারিয়ে সোনার পদক নিশ্চিত করেন আল আমিন ইসলাম। সেমিফাইনালে নেপালের প্রতিযোগীকে ৭-৪ ব্যবধানে হারান তিনি।
গতকাল (সোমবার) আসরের দ্বিতীয় দিন বাংলাদেশকে প্রথম স্বর্ণ উপহার দেন দিপু চাকমা। তায়কোয়ান্দো ডিসিপ্লিনে ছেলেদের একক পুমসায় ঊর্ধ্ব-২৯ শ্রেণিতে ভারতের প্রতিযোগীকে হারিয়ে সোনার হাসি হাসেন রাঙামাটির দিপু। সে সঙ্গে স্বর্ণের তালিকায়ও নাম উঠে যায় বাংলাদেশের।
আজ আল আমিন কারাতে ডিসিপ্লিনে স্বর্ণ জিতলেও, গেমসের দ্বিতীয় দিনে কারাতের দুটি ইভেন্টে স্বর্ণের লড়াইয়ে হেরে যান বাংলাদেশের কারাতেকারা। যার ফলে বাংলাদেশ পায় দুটি রৌপ্য। পুরুষ একক কুমি অনূর্ধ্ব-৫৫ কেজিতে মোস্তাফা কামাল ও মেয়েদের একক কুমি অনূর্ধ্ব-৫৫ কেজিতে মাউনজেরা বর্ণা রৌপ্যপদক জেতেন।
এর আগে মেয়েদের একক কাতা ইভেন্ট থেকে দেশকে প্রথম পদক (ব্রোঞ্জ) এনে দেন হোমায়রা আক্তার অন্তরা। ছেলেদের একক কাতায় ব্রোঞ্জ জেতেন হাসান খান সান।
ছেলে ও মেয়েদের দলীয় কাতা থেকেও ব্রোঞ্জ পেয়েছে বাংলাদেশ। পুরুষ অনূর্ধ্ব-৮৪ কেজি কুমিতে মোহাম্মদ রমজান, +৮৪ কেজিতে আতিকুর রহমান, মেয়েদের অনূর্ধ্ব-৫০ কেজিতে ফাহমিদা আক্তার ব্রোঞ্জ পেয়েছেন।
সবমিলিয়ে বাংলাদেশের পদক সংখ্যা এখন ১৭। এর মধ্যে রয়েছে ২টি স্বর্ণ, ২টি রৌপ্য ও ১৩টি ব্রোঞ্জ।
বার্তা কক্ষ,৩ ডিসেম্বর ২০১৯