প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার ২৮ নভেম্বর সকাল সাড়ে ১০ টায় পার্বত্য চট্টগ্রামে সোলার প্যানেল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় তিনি ৪টি প্রকল্প উদ্বোধন করেন।
প্রকল্পগুলো হলো-পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সোলার প্যানেলের মধ্যে দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ শীর্ষক প্রকল্প,চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিমেল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসে গবেষণা প্রকল্প, বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি গাজীপুরের ডাটা সেন্টার ও বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) নতুন ৫টি জাহাজের প্রকল্প।
তিনি বলেন,‘১৯৭০ সালে পার্বত্য অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা আমরা ঘুরেছি। আমার মা আমাদের নিয়ে গিয়েছিলেন। কাজেই আমার ওই এলাকা সম্পর্কে যথেষ্ট জানা ছিল। পরবর্তীকালে আমরা চেষ্টা করেছি। ওখানকার মূল সমস্যাটা জানতে। তারপর আমি একটা ঘোষণা দিয়েছিলাম। এটা রাজনৈতিক সমস্যা। তাই রাজনৈতিকভাবে আলোচনা করে সমাধান করতে হবে। আমরা সে ব্যাপারে উদ্যোগ নিই এবং সফল হই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘পার্বত্য চট্টগ্রামে মোবাইল ব্যবহার করা নিষিদ্ধ করে দিয়েছিল বিএনপি সরকার। আমরা এসে সেখানে মোবাইল চালু করে দেই। ওই অঞ্চল যথেষ্ট দুর্গম তাই গ্রিড লাইন করা সম্ভব না। এজন্য আমরা সেখানে ব্যাপক সোলার প্যানেল দেয়া শুরু করি। হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ, রাস্তা-ঘাট তৈরি করা,পুল-ব্রিজ তৈরি করাসহ ব্যাপক হারে উন্নয়নের কাজ আমরা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। ওই অঞ্চলের মানুষ খুব দরিদ্র ছিল।
আমরা তাদের আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। এতটুকু আমরা কথা দিতে পারছি। পর্যায়ক্রমিকভাবে প্রত্যেকটা বাড়ি,কোনও বাড়ি বা কোনও বাজার বা কোথায় অন্ধকার থাকবে না। আমরা সেভাবে প্রকল্প নিয়েছি এবই সেভাবেই তা বাস্তবায়ন করবো।’
তিনি বলেন,‘৬৪ হাজার রিফিজি ছিল ভারতে। আমি তাদের ফিরিয়ে এনে তাদের পুনর্বাসন করি। পাশাপাশি ওই অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি আমরা হাতে নিই। ৫ বছর মাত্র ক্ষমতায় ছিলাম। অনেক করার ইচ্ছা ছিল। এরপর যখন ৭ বছর পর ২০০৮ এর নির্বাচনে জয়ী হয়ে ২০০৯ এ আমরা সরকার গঠন করি।’
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের নতুন ৫টি সমুদ্রগামী জাহাজ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়।
বাংলাদেশ ও চীন সরকারের চুক্তি অনুযায়ী নতুন ৫টিসহ ৬টি জাহাজ সংগ্রহে ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ৬৩৭ কোটি ১৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে চীন সরকারের সহায়তা ১ হাজার ৫২৭ কোটি ৬৬ লাখ টাকা এবং বিএসসির নিজস্ব অর্থ ১০৯ কোটি ৪৯ লাখ টাকা।
প্রতিটি জাহাজের ধারণ ক্ষমতা ৩৯ হাজার ডিডব্লিউটি । এগুলোর দুটি বাল্ক ক্যারিয়ার ও তিনটি প্রোডাক্ট অয়েল ট্যাংকার। জাহাজগুলো হলো-এমভি বাংলার সমৃদ্ধি,এমভি বাংলার অর্জন,এমটি বাংলার অগ্রযাত্রা,এমটি বাংলার অগ্রদূত এবং এমটি বাংলার অগ্রগতি।
বার্তা কক্ষ, ২৯ নভেম্বর ২০১৯