ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ অধিকতর প্রচারের মাধ্যমে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৭ নভেম্বর বুধবার সকাল ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের যৌথ আয়োজনে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ মাজেদুর রহমান খান।
তিনি বলেন, জেল জরিমানা দিয়ে কোন কিছু সমাধান হবে না। সকলকে সচেতন হতে হবে। ভোক্তা অধিকার আইন প্রতিষ্ঠায় নিজে ও অন্যকে সচেতন হতে হবে। তিনি আরও বলেন, প্রেসক্রিপশন ছাড়া কোন অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রয় করা যাবে না। বিশ্বস্ত অনলাইন ছাড়া কোন ই-কমার্স থেকে কিছু ক্রয় করে প্রতারিত হবেন না। খাদ্যে ভেজাল মারাত্মক অপরাধ। তাই অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
কোন পণ্য মোড়কাবদ্ধভাবে বিক্রয় করা এবং মোড়কের গায়ে পণ্যের ওজন পরিমাণ উপাদান ব্যবহার বিধি, সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য, উৎপাদনের তারিখ, প্যাকেটজাত করণের তারিখ ও মেয়াদোত্তীর্নের তারিখ লিপিবদ্ধ না থাকলে ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ১ বছরের কারাদ- ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে।
কোন আইন অমান্য করে দোকান বা প্রতিষ্ঠানের দৃশ্যমান স্থানে পণ্যের মূল্য তালিকা না থাকলে ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে একই অপরাধ দ-িত হবে। দোকান বা প্রতিষ্ঠানের সেবার মূল্যের তালিকা সংরক্ষণ না করা ও দৃশ্যমান স্থানে না রাখলে ওই প্রতিষ্ঠানের প্রতি ১ বছরের কারাদ- ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে ভেজাল পণ্য বা ঔষধ বিক্রি বা বিক্রয়ের প্রস্তাব করা হলে ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ৩ বছরের কারাদ- ও ২ লাখ টাকা অর্থদ-ের বিধান রয়েছে।
মানুষের জীবন বা স্বাস্থ্যের জন্যক্ষতিকারক কোন দ্রব্য বা খাদ্য পণ্যের সহিত নিষিদ্ধ দ্রব্যের মিশ্রণ পাওয়া গেলে ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে একই অপরাধে দ-িত হবে। কোন পণ্য বা সেবা বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অসত্য বা মিথ্যা বিজ্ঞাপন প্রচার করা হলে ১ বছরের কারাদণ্ড ও ২ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে।
কোন পণ্য বা সরবরাহ বিক্রয়কালে ভোক্তাকে প্রতিশ্রুতি ওজন অপেক্ষআ কম দেওা হলে ওই ব্যক্তিকে ১ বছরের কারাদ- ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদ-ের বিধান রয়েছে। কোন পণ্য বিক্রয় বা সরবরাহের উদ্দেশ্যে কোন দোকান বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ওজন পরিমাপে ব্যবহৃত বাটখারা বা ওজন পরিমাপক যন্ত্র প্রকৃত ওজন অপেক্ষা অতিরিক্ত ওজন প্রদর্শন করা হলে তাকেও একই দ-ে দন্ডিত করা হবে।
কোন পন্যের নকল প্রস্তুত বা উৎপাদন করা হলে তার বিরুদ্ধে ৩ বছরের কারাদ- ও ২ লাখ টাকা অর্থদ-ের বিধান রয়েছে। কোন প্রতিষ্ঠানে মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য বা ঔষধ বিক্রয় করা হলে তা প্রমাণিত হলে ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ১ বচরের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এস এম জাকারিয়ার সভাপতিত্ত্বে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, জেলা ক্যাবের আহ্বায়ক জীবন কানাই চক্রবর্তী, জেলা দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মোস্তাক হায়দার চৌধুরী, জেলা হোটেল রোস্তারা মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রহিম খান ও সাধারণ সম্পাদক আঃ আজিজ দেওয়ান, জেলা জুয়েলার্স সমিতির সভাপতি মোস্তফা ফুল মিয়া। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সামিউল ইসলাম, পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এ.এইচ.এম রাশেদ,
চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সোহেল রুশদী, নতুন বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি তাফাজ্জল হোসেন পাটওয়ারী এসডু, সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন জনু, জেলা ক্যাব সদস্য বিপ্লব সরকার, হোটেল রেস্তোরা মালিক সমিতির পরিবেশ সম্পাদক মোঃ জাকির হোসেন, ডিআইও-২ মাহবুবুর রহমান মোল্লা, বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আনোয়ার হোসেন বাবুল, ফায়ার সার্ভিসের সহকারি পরিচালক ফরিদ আহমেদ মনিরসহ আরও অনেকে।
প্রতিবেদক : মাজহারুল ইসলাম অনিক, ২৭ নভেম্বর ২০১৯
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur