বহুল আলোচিত রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলা মামলায় চার্জশিটভুক্ত আট আসামির মধ্যে ৭ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তবে হামলার তার সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় মামলার অপর আসামি মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজানকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
২৭ নভেম্বর বুধবার ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
জানা গেছে, মিজানুর রহমান বড় মিজান নামে পরিচিত তিনি। বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের হাজারবিঘি চাঁনপুরে। ২০১৬ সালের ২ নভেম্বর ঢাকার দারুস সালাম এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। গুলশান হামলায় ব্যবহৃত বিস্ফোরক সরবরাহে সহায়তা করে হত্যাকাণ্ড সংঘটনে ভূমিকা রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে মিজানের বিরুদ্ধে।
তবে আত্মপক্ষ সমর্থন করে দেওয়া জবানবন্দিতে মিজান আদালতে বলেছিলেন, তিনি একজন মাছ ব্যবসায়ী, শুধু নামের মিলের কারণে তাকে আসামি করা হয়েছে।
এর আগে, ১৭ নভেম্বর রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হলে রায় ঘোষণার জন্য ২৭ নভেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৭ আসামি হলো জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী, রাকিবুল হাসান রিগান, আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদুল ইসলাম ওরফে র্যাশ, সোহেল মাহফুজ, হাদিসুর রহমান সাগর, শরিফুল ইসলাম ও মামুনুর রশিদ।
এর আগে, ২০১৮ সালে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) পরিদর্শক হুমায়ুন কবির ২৩ জুলাই হামলায় জড়িত ২১ জনকে চিহ্নিত করে তাদের মধ্যে জীবিত আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে ওই বছরের ২৬ নভেম্বর আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন বিচারক।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলা চালায় জঙ্গিরা। তারা অস্ত্রের মুখে দেশি-বিদেশি মানুষদের জিম্মি করে। ওই রাতে অভিযান চালাতে গিয়ে পুলিশের দুই কর্মকর্তা নিহত হন।
পরদিন সকালে সেনা কমান্ডোদের অভিযানে পাঁচ জঙ্গিসহ ছয়জন নিহত হয়। পরে পুলিশ ১৮ বিদেশিসহ ২০ জনের মরদেহ উদ্ধার করে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান একজন রেস্তোরাঁকর্মী।
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur