অগ্রাহায়নের শুরু থেকেই শীতের হাওয়া বইতে শুরু করেছে চাঁদপুরের চরাঞ্চলে। দিনের বেলায় এর প্রভাব বুঝা না গেলেও বিকেল হওয়া শুরু হলেই শরীরে শীতের আমেজ অনুভব হয়।
চলে সকাল ৭টা কি ৮টা পর্যন্ত। শহরের মোড়ে মোড়ে বা রাস্তার ধারে ঐতিহ্যবাহী শীতের ভাপা-পুলি পিঠার দোকান নিয়ে বসেছে মৌসুমী দোকানিরা। জনপ্রিয় এ খাবারের স্বাদ নিতে ভিড় করছে নানা বয়সের মানুষ। এদিকে শীতের প্রকোপ বৃদ্বি পাওয়ার আগে শিশুদের ব্যাপারে সাবধানতা নিতে পরামর্শ চিকিৎসকদের।
সন্ধ্যা নামতেই গ্রামঞ্চলের সড়কগুলো কুয়শা ও ঠা-া হাওয়া জানান দেয় শীতের আগমনী। কুয়াশা আর শিশির ভেজা ধানের শীষ সৃষ্টি করে প্রকৃতির অপরূপ শোভা। রাতে তাপমাত্রা কমতে শুরু করায় শীতের তীব্রতা বাড়ছে।
এদিকে কৃষকরা অপেক্ষাকৃত উচুঁ নিচু জমিতে আবাদ করতে শুরু করেছেন শীতকালীন বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি। ইতিমধ্যে কৃষকদের এ শাক-সবজি হাট-বাজার গুলোতে উঠতে শুরু করেছে। বর্তমানে শীতের শাক-সবজির দামও বেশ ভাল। চাঁদপুর শহরের মিশন রোড, নাজিরপাড়া, মাদ্রাসা রোড, বিপনীবাগ বাজার কালীবাড়িসহ শহরের বিভিন্ন মোড়ে ভাম্যমান ব্যবসায়ীরা এসব বিক্রি করছেন।
চাঁদপুর আবহাওয়া অফিস জানায়, বাংলা অগ্রাহায়ন মাস শুরু হওয়ার পর থেকেই শীত অনুভুত হচ্ছে। এখন প্রতিদিন তাপমাত্রা কমতে থাকবে আর শীতের মাত্রা দিন দিন বৃদ্ধি পেতে থাকবে। সকাল বেলা হালকা কুয়াশা পড়ছে। আর কিছুদিন পর কুয়াশা আর হিমেল বাতাসে শীতার মাত্রাও বেড়ে যাবে।
প্রতিবেদক : শরীফুল ইসলাম, ২৩ নভেম্বর ২০১৯
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur