চাঁদপুর স্টেডিয়াম মিলনায়তনে চলছে ৪ দিনব্যাপি আয়কর মেলা-২০১৯-২০। গত ১৬ নভেম্বর শনিবার থেকে শুরু হওয়া এবারের আয়কর মেলায় মানুষের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। আজ ১৯ নভেম্বর শেষ হচ্ছে করমেলা।
তাই শেষ সময়ে ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ব্যপক উৎসব মুখর পরিবেশে চাঁদপুর কর সার্কেলের করদাতাগন ২০১৯-২০ করবর্ষের রির্টান গ্রহন TIN নিবন্ধন ও পূর্ণ: নিবন্ধন এবং কর সেবা গ্রহণসহ কর সংক্রান্ত সকল প্রকার সেবা খুব সহজেই গ্রহন করছেন। চলতি ২০১৯-২০ করবর্ষে চাঁদপুর সার্কেলে কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬৩ কোটি ৪ লাখ টাকা।
এরইমধ্যে গত ৪ মাসে কর আদায় করা হয়েছে ২৫ কোটি ৪৫ লাখা টাকা।
এবিষয়ে চাঁদপুর সার্কেলের সহকারী কর কমিশনার মোহাম্মদ আলাউদ্দিন এর সাথে আলাপকালে তিনি জানান। চাঁদপুর সার্কেলে বিগত ২০১৭/১৮ করবর্ষে লক্ষমাত্রা ছিলো ১০১.১০ কোটি টাকা, আদায় করা হয়েছে ৭৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। ২০১৮/১৯ করবর্ষে লক্ষমাত্রা ছিলো ১১৮ কোটি টাকা, আদায় করা হয়েছে ৯৮ কোটি ৫৩ লাখ টাকা।
তিনি আরো জানান, চলতি করবর্ষে চাঁদপুর সার্কেলে যে লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে, আমরা আশা করছি বিগত কয়েক বছরের চেয়ে এবার আমাদের লক্ষমাত্রা অর্জন করার সম্ভাবনা রয়েছে, এর কারন হচেছ করদাতাদের মধ্যে কর প্রদানের আগ্রহ আগের চেয়ে বহুগুন বেরেছে। বিশেষ করে চাঁদপুর সার্কেলের আওতায় করদাতার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।
১৮ নভেম্বর সোবার আয়কর মেলা ঘুরে দেখাযায় প্রতিটি স্টলে করদাতাগন খুব সহজেই সেবা গ্রহন করছেন। এসময় কয়েকজন করদাতার সাথে আলাপকালে তারা জানান, আমরা কোন রকম হয়রানি ও বিড়ম্বনা ছাড়াই খুব সহজে সেবা নিতে পেরেছি। আমরা চাই সরকার প্রতি বছর এই মেলা অব্যাহত রাখবে।
এতে করে সরকারের রাজস্ব আয় আরো বৃদ্ধি পাবে। তাদের দাবী যেসকল ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠান কর ফাকি দেওয়ার চেষ্টা করছে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হউক। অপরদিকে করদাতাদের সুবিধার্থে মেলায় সোনালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক ও বেসিক ব্যাংকের বুথ রয়েছে।
পাশা-পাশি মেডিকেল টিম, অর্ভথ্যনা কেন্দ্র, কাস্টমস সেবা প্রদান করা হচেছ।