চাঁদপুরের কচুয়ার সাচার-নায়েরগাঁও ভায়া বড়দৈল রাস্তার (সংস্কার) মেরামত কাজ বন্ধ থাকায় জন দুর্ভোগ চরমে দেখা দিয়েছে। কচুয়া-মতলব সীমান্তবর্তী এলাকার এ রাস্তাটি উপজেলা সংযোগকারী রাস্তা হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত। বর্তমান পরিস্থিতিতে এ রাস্তা দিয়ে কেউ ভুল করে একবার আসলেও দ্বিতীয় বার আসেননি ভয়ে।
বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে এলজিইডি আওতাধীন এ রাস্তার সাচার হতে কাচিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় পর্যন্ত প্রায় ৬ কি.মি. (৫৮৩০ মিটার) মেরামত কাজের জন্য বরাদ্ধ হয় ২ কোটি ৬৫ লক্ষ ৮৬ হাজার টাকা।
টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্নের পর ২০১৬ সালের ২৩ জুন ওয়ার্ক অর্ডার পেয়ে কাজ শুরু করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এ.এ.ট্রেগিং কন্সট্রাকশন (প্রোপাইটার এ.জেড. একলাছ উদ্দিন) শুরু থেকেই ঠিকাদার গড়িমসি করে রাস্তা মেরামতের কাজ করে আসছেন বলে স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ।
ওয়ার্কঅর্ডার পাওয়ার পর হতে অদ্যাবধি পর্যন্ত প্রায় ৩ বছরে সাচার মন্দির হতে পাথৈর মসজিদ পর্যন্ত মাত্র সোয়া কিলোমিটার রাস্তার পিচ ঢালাই হয়েছে এবং রাস্তার স্থানে স্তানে কিছু অংশে প্যালাসাটিংয়ের কাজ করা হয়েছে । বড়দৈল জামতলা হতে বেরকোটা পর্যন্ত প্রায় ৩ কি.মি. রাস্তার খুবই জরাজীর্ণ অবস্থা।
এরইমধ্যে বড়দৈল জামতলা হতে আতিশ্বরের ব্রীজ পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার অংশের খুবই বেহাল দশা। উক্ত অংশে ক’ ফুট অন্তর অন্তর বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে এসব গর্ত বৃষ্টির পানিতে ভরে থাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। রাস্তার অবস্থা এতটাই নাজুক যে, রাস্তার কোন কোন অংশে পায়ে হেঁটে চলাচল খুবই কষ্টসাধ্য। এ গর্তময় রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন শত শত যানবাহন চলাচল করছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী সৈয়দ জাকির হোসেন ও সহকারী প্রকৌশলী (এসও) কামাল হোসেন জানান, রাস্তাটি এ পর্যন্ত অনুর্ধ্ব ২০ ভাগ ভাগ মেরামত হয়েছে । ঠিকাদার চুক্তি মোতাবেক কাজ না করায় ওই রাস্তা মেরামত কাজের ওয়ার্ক অর্ডার বাতিল করা হয়েছে।
তাদের দাবি ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে আবারো উক্ত রাস্তা পুনঃ মেরামত করার প্রাক্কলন তৈরি করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রস্তাব পাঠানো হচ্ছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী সৈয়দ জাকির হোসেন ও সহকারী প্রকৌশলী (এসও) কামাল হোসেন জানান, রাস্তাটি এ পর্যন্ত অনুর্ধ্ব ২০ ভাগ ভাগ মেরামত হয়েছে। ঠিকাদার চুক্তি মোতাবেক কাজ না করায় ওই রাস্তা মেরামত কাজের ওয়ার্ক অর্ডার বাতিল করা হয়েছে।
তাদের দাবি ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে আবারো উক্ত রাস্তা পুনঃ মেরামত করার প্রাক্কলন তৈরি করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রস্তাব পাঠানো হচ্ছে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান জুয়েল বলেন,কাজ পাওয়ার পর থেকেই ঠিকাদার গাফিলতির মাধ্যমে কাজ শুরু করেন। কাজ পাওয়ার তিন বছর অতিবাহিত হলেও মেরামত কাজ শেষ না করায় জনদূভোগ চরম আকারে ধারন করেছে।
এ ব্যাপারে এএট্রেগিং কন্সট্রাকশন এর ঠিাকাদার শিশির এর মুঠো ফোনে বক্তব্য জানতে বার বার চেষ্টা করেও (০১৭১১২৬২৯৩৫) বক্তব্য জানা যায়নি।
প্রতিবেদক : জিসান আহমেদ নান্নু, ৩ নভেম্বর ২০১৯
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur