বরেন্দ্র অঞ্চলে বহু আগে থেকে যে পুকুরগুলো স্থানীয় লোকজন সেচের কাজে ব্যবহার করতেন, সেই পুকুরগুলো পুনঃখনন করা হবে। সেগুলোর পানি আবার সেচের কাজে ব্যবহার করা হবে।
এ জন্য বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) ‘পুকুর পুনঃখনন ও ভূ-উপরিস্থ পানি উন্নয়নের মাধ্যমে ক্ষুদ্র সেচে ব্যবহার’ শীর্ষক একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এ কাজে দক্ষতা লাভের জন্য এই প্রকল্পের ১৬ জন কর্মকর্তা বিদেশ সফর করবেন। এ জন্য ব্যয় হবে ১ কোটি ২৮ লাখ টাকা।
ক্ষুদ্র সেচ বিএমডিএর মূল সেচ নয়। এটি একটি সম্পূরক সেচ। বর্ষার সময় বৃষ্টির পানির পাশাপাশি প্রয়োজন হলে এই সেচ দু-একবার দেওয়া হয়। যেসব ফসলে অল্প পানির প্রয়োজন, বিএমডিএর ভাষায় সেই ফসলের সেচব্যবস্থাকে ‘ক্ষুদ্র সেচ’ বলা হয়।
বরেন্দ্র অঞ্চলে বহু আগে থেকে যে পুকুরগুলো স্থানীয় লোকজন সেচের কাজে ব্যবহার করতেন, সেই পুকুরগুলো পুনঃখনন করা হবে। সেগুলোর পানি আবার সেচের কাজে ব্যবহার করা হবে।
এ জন্য বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) ‘পুকুর পুনঃখনন ও ভূ-উপরিস্থ পানি উন্নয়নের মাধ্যমে ক্ষুদ্র সেচে ব্যবহার’ শীর্ষক একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এ কাজে দক্ষতা লাভের জন্য এই প্রকল্পের ১৬ জন কর্মকর্তা বিদেশ সফর করবেন। এ জন্য ব্যয় হবে ১ কোটি ২৮ লাখ টাকা।
ক্ষুদ্র সেচ বিএমডিএর মূল সেচ নয়। এটি একটি সম্পূরক সেচ। বর্ষার সময় বৃষ্টির পানির পাশাপাশি প্রয়োজন হলে এই সেচ দু-একবার দেওয়া হয়। যেসব ফসলে অল্প পানির প্রয়োজন, বিএমডিএর ভাষায় সেই ফসলের সেচব্যবস্থাকে ‘ক্ষুদ্র সেচ’ বলা হয়।
পুকুর খনন ও ক্ষুদ্র সেচের দক্ষতা লাভের জন্য বিদেশ সফরের বিষয়টি নিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রকল্প হলেই তার সঙ্গে বিদেশ সফর রাখার একটা প্রবণতা শুরু হয়েছে। এ ধরনের প্রকল্পের জন্য দেশীয় জ্ঞান কাজে না লাগিয়ে প্রথমে বিদেশে যাওয়াটা তাঁরা সমর্থন করছেন না।
২৭ আগস্ট একনেক সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন করা হয়েছে। প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০১৯ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রকল্পের ১৬ কর্মকর্তা অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস—যেকোনো একটি দেশ সফর করবেন। প্রথম পর্যায়ে আটজন ও পরবর্তী পর্যায়ে আট কর্মকর্তা এই সফরে যাবেন। আটজনের মধ্যে চারজন করে বিএমডিএর প্রকৌশলী আর বাকি চারজন মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা থাকবেন।
প্রকল্পের ডিপিপি তৈরি করেছেন বিএমডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন। বিদেশ সফরের উদ্দেশ্য সম্পর্কে এই প্রকৌশলী বলেন, ওই সব দেশ দক্ষতার সঙ্গে কীভাবে এবং কী প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভূ-উপরিস্থ বৃষ্টির পানি ব্যবহার করছে, সে বিষয়ে বাস্তব জ্ঞান অর্জনের জন্য এই সফরের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
পুকুর পুনঃখনন ও ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্পের কাজে দক্ষতা অর্জনে ১৬ কর্মকর্তা বিদেশ সফর করবেন।
রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, নাটোর ও বগুড়া জেলায় এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। এ জন্য ৭১৫টি পুকুর ও ১০টি দিঘি পুনঃখনন করা হবে। পুকুরের ধারে দেড় কোটি ফলদ ও ঔষধি গাছ লাগানো হবে।
প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১২৮ কোটি ১৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। শুধু পুকুর খননের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৬ কোটি টাকা। পুকুরের ধারে গাছ লাগানোর জন্য রাখা হয়েছে ২ কোটি টাকা। ‘লো লিফট পাম্প’–এর জন্য ১৫ কোটি ৩০ লাখ ও সফরের জন্য রাখা হয়েছে ১ কোটি ২৮ লাখ টাকা। এ ছাড়া প্রকল্প বাস্তবায়নকালে ১০ জন কর্মকর্তা ও আটজন কর্মচারী কাজ করবেন। তাঁদের বাড়িভাড়ার জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১ কোটি ৬২ লাখ ২০ হাজার টাকা।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহ-উপাচার্য ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক চৌধুরী সারোয়ার জাহান দেশের ভূগর্ভস্থ জলাধার ব্যবস্থাপনা জাতীয় কৌশল নির্ধারণী কমিটির সদস্য।
১৬ কর্মকর্তার বিদেশ সফর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নতুন কোনো প্রকল্প হলেই তার সঙ্গে বিদেশ সফর রাখার মানেই হচ্ছে জনগণের ওপর করের চাপ বাড়ানো। তিনি মনে করেন, আগে দেশীয় জ্ঞান ও বিবেচনা কাজে লাগিয়ে দেখতে হবে। তাতে একান্তই সম্ভব না হলে একজন বিদেশি বিশেষজ্ঞ আনা যেতে পারে।
সারোয়ার জাহান বলেন, এখন ইন্টারনেটে সার্চ দিলেই অনেক বিষয়ে জানা যায়। নেটেই অনেক পড়াশোনা করা যায়। ঘরে বসেই অনেক তথ্য জানা যায়। আর পুকুর খনন ও সেই পানি সেচে ব্যবহার করার জ্ঞান লাভের জন্য প্রথমেই বিদেশ সফরের প্রয়োজন আছে বলে তিনি মনে করেন না।
তিনি বলেন, তাঁর কাজের ক্ষেত্রেও একইভাবে বিদেশ সফরের প্রস্তাব উঠেছিল। তিনি এবং তাঁর সঙ্গে আরও কয়েকজন সদস্য আপত্তি তুলেছিলেন। বলেছিলেন, তাঁরা আগে নিজেদের জ্ঞান-বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে দেখতে চান। তাতে সম্ভব না হলে প্রয়োজনে বিদেশ থেকে একজন বিশেষজ্ঞ নিয়ে আসা যেতে পারে অথবা তারপরে বিদেশে যাওয়া যেতে পারে। (প্রথম আলো)
বার্তা কক্ষ, ৩০ আগস্ট ২০১৯