কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সরিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নেতা বানানোর রাজনীতি তিনি করেন না। এ ছাড়া জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে সরে যাওয়ার জন্য তিনি তারেক রহমানের হাতে জোটের নেতৃত্ব চলে যাওয়াকে দায়ী করেন।
সোমবার (২৭ আগস্ট) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধু হত্যা ও প্রতিরোধযুদ্ধ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় কাদের সিদ্দিকী এ কথা বলেন।
নিজ দলের নেতা–কর্মীদের উদ্দেশে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে সরিয়ে আমি কখনো তারেক রহমানকে নেতা বানানোর জন্য রাজনীতি করি না এবং জীবনেও করব না।’ খালেদা জিয়াকে জাতির অন্যতম একজন নেতা বললেও তারেক নেতা নন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনের পর গত বছরের নভেম্বরে জোটে যোগ দেন কাদের সিদ্দিকী। জোটভুক্ত হয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেন তিনি। পরবর্তী সময়ে জোটের নানা অসংগতি তুলে গত জুলাইয়ে তিনি জোট ছাড়েন। এ প্রসঙ্গে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট কোনোমতে আমরা বিএনপির নেতৃত্বে করি নাই। ঐক্যফ্রন্ট করেছিলাম ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে। কিন্তু মনোনয়ন দেওয়ার সময় থেকে নেতৃত্ব বিএনপির হাতে চলে গেছে।’ তিনি আরও বলেন, গত নির্বাচনের সময় সবকিছুতে তারেক রহমানের হাতে নেতৃত্ব চলে গিয়েছিল। যে কারণে ঐক্যফ্রন্ট থেকে নিজের দলকে প্রত্যাহার করে নেন। ড. কামাল হোসেন যেভাবে চাইবেন, তিনিও সেভাবেই চান জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হোক।
আলোচনা সভায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সব শীর্ষ নেতাকে আমন্ত্রণ জানান কাদের সিদ্দিকী। তিনি বলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির নেতা নজরুল ইসলাম খানকে আমন্ত্রণ জানালেও তাঁরা ব্যস্ত থাকায় আসতে পারেননি বলে তাঁকে জানিয়েছেন।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিএনপির মধ্যে দ্বন্দ্ব থাকলে তারা রাজনীতি করতে পারবে না এবং ক্ষমতায় আসতে পারবে না। তিনি বলেন, বিএনপিকে জিইয়ে রাখে আওয়ামী লীগ ও প্রধানমন্ত্রী।
খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আন্দোলন করতে না পারার সমালোচনা করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, মনোনয়নের সময় অনেক মানুষের জমায়েত হয়েছিল, কিন্তু খালেদার মুক্তির জন্য এক ঘণ্টার আন্দোলনও করতে পারেনি তারা। তাঁর দাবি, বিএনপিই চায় না খালেদা জিয়া মুক্ত হোক।
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন, জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরী, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকী প্রমুখ।
বার্তা কক্ষ, ২৭ আগস্ট ২০১৯