Home / চাঁদপুর / ঢাকা-চাঁদপুর-বরিশাল নৌ-রুটে ডুবন্ত নৌযান উদ্ধারে উদ্যোগ নেই
risk-meghna-para
ফাইল ছবি

ঢাকা-চাঁদপুর-বরিশাল নৌ-রুটে ডুবন্ত নৌযান উদ্ধারে উদ্যোগ নেই

ঢাকা-চাঁদপুর-বরিশাল নৌ-রুটে নৌপথে একের পর এক দুর্ঘটনাকবলিত হয়ে নৌযান ডুবে গেলেও তা উদ্ধারে তেমন কোন উদ্যোগ নেই। মূলত শক্তিশালী উদ্ধারকারী জাহাজের অভাবেই ডুবে যাওয়া নৌযানগুলো উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না। আর ডুবে যাওয়া নৌযানের কারণে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে নৌপথ।

উদ্ধার না করার কারণে যাত্রীবাহী লঞ্চ, ট্রলার, পণ্যবাহী কার্গো দুর্ঘটনার পর তা নদীর তলদেশেই ধ্বংস হচ্ছে। চলতি বর্ষা মৌসুমে নৌপথে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন রুটে একের পর এক দুর্ঘটনায় নিমজ্জিত নৌযান উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না।

এমনিতেই নৌ-রুটে নাব্যতা সংকট, অদক্ষ চালক, লঞ্চে আধুনিক প্রযুক্তির অভাব, নৌ-মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মনিটরিং সংকটের কারণে নৌপথে দুর্ভোগের সীমা নেই। তার ওপর ঢাকা-বরিশাল নৌপথের মেঘনা নদীতে ডুবে যাওয়া এসব কার্গো, বাল্কহেড উদ্ধার না হওয়ায় দিনে দিনে ঝুঁকি আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

নৌ-মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ডুবে যাওয়া পণ্যবাহী নৌযানের ওজন ১ হাজার ২০০ টনের ওপরে হওয়ায় ২৫০ টন ধারণক্ষমতার বিআইডব্লিউটিএ’র উদ্ধারকারী জাহাজের পক্ষে তা উত্তোলন করা সম্ভব হচ্ছে না।

fani-affect-in-chandpur-meghna

৩ মে শুক্রবার বিকেলে চাঁদপুর বড়স্টেশন মোলহেড থেকে উত্তাল মেঘনার ছবিটি তুলেছেন শরীফুল ইসলাম।

গত ৬ আগস্ট মেঘনা নদীর গজারিয়ায় দুর্ঘটনাকবলিত হয়ে দুটি নৌযান ডুবে যায়। গজারিয়ায় সারবোঝাই এমভি টপশিপ কার্গো ও গোবিন্দপুর সংলগ্ন অপর একটি মালবাহী কার্গো ডুবে যায়।

এর আগে গত ২৫ মে বালুবাহী বাল্কহেড এমভি সিয়াম মেঘনা নদীর মিয়ারচর এলাকায় ডুবলেও এখনও পর্যন্ত তা উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। মেঘনা নদীতে এ তিনটি কার্গো প্রায় কাছাকাছি স্থানে ডোবায় বর্ষা মৌসুমে ঝুঁকি আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে মেঘনা নদীতে ডুবোচরের পাশাপাশি কার্গো নিমজ্জিত থাকায় নদীপথ সরু হয়ে যাচ্ছে।

সূত্রে আরও জানা গেছে, বিআইডব্লিউটিএ’র উদ্ধারকারী নৌযান ‘হামজা’ ও ‘রুস্তুম’ অনেক আগেই যৌবন হারিয়েছে। ওই দুটি জাহাজের ক্রেনের উত্তোলন ক্ষমতা ৬০ টন। ‘হামজা’ সংগ্রহ করা হয়েছে ১৯৬৫ সালে, যা বর্তমানে আরিচা ফেরিঘাটে রয়েছে।

বার্তা কক্ষ, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯