চাঁদপুর পৌরসভার ‘নগর পরিচালন ও অবকাঠামো উন্নতিকরণ প্রকল্প’ এর আওতায় ও ‘পান করবো নিরাপদ পানি ; সুস্থ নিরোগ থাকবো জানি ’-এ শ্লোগানকে সামনে রেখে নগর পরিচালন উন্নতিকরণ কর্মসূচির পানি শোধনগারগুরো (ট্রিটম্যান্ট প্ল্যান্ট) পৌর নাগরিকের জন্যে প্রতিদিন ২ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করছে।
চাঁদপুর পৌরসভার পানি তত্ত্বাবধায়ক মো.শাহাবুদ্দিন বৃহস্পতিবার (২৩ মে) চাঁদপুর টাইমসকে এ তথ্য জানান।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, পুরাণ বাজার ভূ-পৃষ্ঠ পানি শোধনাগার প্রতি ঘন্টায় ৩ লাখ ৫০ হাজার লিটার ক্ষমতাসম্পন্ন ২০১৭-১৮ অর্থবছর চাঁদপুর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের সার্বিক তত্ত্ববধায়নে ১২ কোটি টাকায় নির্মিত হয়। যা পুরাণ বাজার এলাকার পৌর নাগরিকদের পানির চাহিদা মিটাতে সক্ষম। যার কারণে পুরানবাজার এলাকায় পানি সমস্যা থাকবে না।
ঘোড়ামারা ভূ-পৃষ্ঠ পানি শোধনাগার প্রতি ঘন্টায় ৩ লাখ ৫০ হাজার লিটার ক্ষমতাসম্পন্ন ২০১৭-১৮ অর্থবছর চাঁদপুর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের সার্বিক তত্ত্ববধায়নে ২৫ কোটি টাকায় নির্মিত হয়। যা পুরাণ বাজার এলাকার পৌর নাগরিকদের পানির চাহিদা মিটাতে সক্ষম।
নতুন বাজার ছোট-বড় দু’টো ভূ-পৃষ্ঠ পানি শোধনাগার প্রতি ঘন্টায় ৩ লাখ লিটার ক্ষমতাসম্পন্ন চাঁদপুর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ কর্তৃক পূর্বেই নির্মিত।
চাঁদপুর বিপনীবাগ এলাকায় নির্মিত ভূ-গর্ভস্থ পানির লৌহ দূরীকরণ প্ল্যান্টটি প্রতি ঘন্টায় ১ লাখ লিটার পানি সরবরাহ করতে পারে। চাহিদানুযায়ী এলাকায় টিউবওয়েল না থাকায় ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় প্রায় ১ বছরযাবৎ এর সরবরাহ কাজ বন্ধ রয়েছে। তবে বর্তমানে নতুন বাজার প্ল্যান্ট থেকে পৌরবাসীর পানির চাহিদা মেটানো হচ্ছে।
অপর এক তথ্য মতে, চাঁদপুর পৌরসভার হোল্ডিং সংখ্যা সাড়ে ১০ হাজার এবং ১৮৫ কি.মি পাইপ লাইন রয়েছে। দৈনিক গড়ে প্রতিজনকে ১ শ’ ২০ লিটার করে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে । পৌরসভার প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রতিজনকে দৈনিক গড়ে ৭০ লিটার করে পানি দিচ্ছে।
প্রতিদিন পুরাণ বাজার ভূ-পৃষ্ঠ পানি শোধনাগার, ঘোড়ামারা ভূ-পৃষ্ঠ পানি, নতুন বাজার ভূ-পৃষ্ঠ পানি শোধনাগার ও চাঁদপুর বিপনীবাগ এলাকায় নির্মিত ভূ-গর্ভস্থ পানির লৌহ দূরীকরণ প্ল্যান্টটি গড়ে ২০ ঘণ্টা চালু রেখে পৌরবাসীর চাহিদা মতে প্রতি ঘন্টায় ২ কোটি লিটার বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করছে।
চাঁদপুর পৌরসভার পানি তত্ত্বাবধায়ক মো.শাহাবুদ্দিন বলেন,‘ চাঁদপুর পৌরসভার পানি বিভাগ পৌরবাসীর চাহিদা মত পানি সরবরাহে সক্ষম। দেশের জালবায়ূর পরিবর্তনের প্রভাবে প্রতি বছর ১ মিটার করে ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাচ্ছে।এ হারে কমতে থাকলে প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটতে পারে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় প্রায় ১ বছর যাবৎ এ প্ল্যান্ট থেকে পানি সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে।’
তিনি আরো জানান, বর্তমানে সাড়ে ৯ হাজার পৌর হোল্ডিং রয়েছে। পৌরসভার ভেতর ২৫০ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার এবং অন্তত ১শ’ টি মসজিদ, মাদ্রাসা,এতিমখানা, মন্দির ও অন্যান্য উপসনালয় রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান থেকে পানির বিল নেয়া হয় না। বিদ্যুৎ বিভ্রাট ব্যাতীত পানি সরবরাহে অন্য কোনো সমস্যা হয় না।
চাঁদপুর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘পুরাণ বাজার ভূ-পৃষ্ঠ পানি শোধনাগার
ও ঘোড়ামারা ভূ-পৃষ্ঠ পানি শোধনাগার দুটো পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হচ্ছে। ১১ মাস আগেই চাঁদপুর পৌরসভাকে দেয়া হয়েছে। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হয়নি।’
প্রতিবেদক : আবদুল গনি
২৪ মে ২০১৯
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur