চাঁদপুর জেলার বিভিন্ন ইস্যুতে নিরাপত্তা বলয় আরো বেশি জোরদার করতে পুলিশ সুপার জিহাদুল কবিরের উদ্যোগে শক্তিশালী ড্রোন সিকিউরিটা ক্যামেরা সংযোজন করা হয়েছে।
রোববার (১৪ এপ্রিল) জেলা পুলিশের মিডিয়া সেল থেকে এ তথ্য জানানো হয়। তথ্যে বলা হয় গুরুত্বপূর্ণ সভা, বিভিন্ন দিবসের মেলা ছাড়া বিস্তীর্ণ পদ্মা-মেঘনা নদীতে জাটকা ও মা ইলিশ সংরক্ষণে অত্যন্ত কার্যকর নজরদারি করার কাজে ও ব্যাবহার করা যাবে এই ড্রোন ।
ড্রোনে আছে হাই রেগুলেশন স্টিল ও ভিডিও ক্যামেরা, মুভি কোয়ালিটির ভিডিও রেকর্ডিংসহ জুমিং সিস্টেম। অন্তত এক কিলোমিটার উপরে উঠে ভিডিও রেকর্ডের সক্ষমতা ছাড়াও প্রায় চার কিলোমিটার ভ্রমণ করতে নজরদারি করতে সক্ষম। ড্রোন ক্যামেরা উড়ন্ত অবস্থায় ছবি তুলতে এবং ভিডিও করতে সক্ষম।
এছাড়া কোন এক কর্মসূচির স্থলের উপরিভাগে উলে স্থির হলে নজরদারি করতে সক্ষম হবে এ ড্রোন। ড্রোনটি অনেক উপরে থাকায় যার উপরে নজরদারি হচ্ছে সে বুঝতে পারবে না । এতে নাইট ভিশন ক্যামেরা ও সংযোজন করা সম্ভব পাশাপাশি নয়েজ ও শব্দবিহীন ভিডিও রেকর্ড করতেও সক্ষম।
এদিকে বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠান শান্তিপূর্ণ ভাবে সম্পন্ন করার লক্ষে চাঁদপুর জেলা পুলিশ আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রনে এ বছরই প্রথম ড্রোনের মাধ্যমে বর্ষবরনের সকল অনুষ্ঠান পর্যবেক্ষণ করেছেন।
এবং শহরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কয়েক স্তরের নিরাপত্তার বলয় তৈরি করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছেন। মঙ্গল শোভাযাত্রার সামনে পিছনে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োজিত ছিলো। শহরের প্রতি মোড়ে মোড়ে ছিল পুলিশের বিশেষ নজরদারী।
চাঁদপুরের পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির (বিপিএম, পিপিএম) বলেন, আমরা চাঁদপুর জেলা পুলিশ এই প্রথম চাঁদপুরে ড্রোনের মাধ্যমে বর্ষবরনের সকল অনুষ্ঠানের আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেছি। এই ড্রোনের মাধ্যমে চার পাশের অন্তত চার কিলোমিটার এলাকা পর্যবেক্ষণ করা যায়। আইনশৃঙ্খলা বিঘœকারীকে তাৎক্ষণিক সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা যাবে।
তিনি আরো বলেন, এখন থেকে চাঁদপুর জেলা পুলিশ গুরুত্বপূর্ণ সকল অনুষ্ঠান সিসি কেম্যারার আওতায় নিয়ে আসবে। এবং ড্রোনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান স্থলসহ এর আশপাশ পর্যবেক্ষন করা হবে। বর্তমানে প্রযুক্তি নির্ভরবিশে^ আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রনে প্রযুক্তির ব্যাবহার কার্যকরি পদক্ষেব বলে মনে করছি।
পহেলা বৈশাখে সংশ্লিষ্ট ড্রোন ক্যামেরায় ধারণ করা চাঁদপুরের কিছু ভিডিওচিত্র–
প্রতিবেদক- শরীফুল ইসলাম
১৪ এপ্রিল, ২০১৯