প্রথমত কেউ এই ব্যপারটা বিশ্বাসই করতে পারছিলো না তবুও সেই ভদ্রলোক খবরের কাগজে এই বিজ্ঞাপন দেখে বিজ্ঞাপনে দেওয়া ঠিকানায় যাবার জন্যে মনস্থির করেন।
কাগজে দেওয়া ঠিকানায় পৌঁছে ভদ্রলোক দরজার বেল টেপেন ও কিছুক্ষণ পরেই এক প্রৌঢ় মহিলা দরজা খোলেন। -আপনি কি কোনো গাড়ি বিক্রি করছেন, ম্যাডাম.? -আজ্ঞে হ্যাঁ।
-গাড়িটাকে আমি কি একবার দেখতে পারি..? -নিশ্চয়..!! এই বলে ভদ্রমহিলা বাড়ির কাজের লোককে গ্যারেজ খুলতে নির্দেশ দেন।
গ্যারেজে ভদ্রলোক দেখতে পান, একটি ঝকঝকে দুধে সাদা রঙের মার্সিডিজ দাঁড়িয়ে। গাড়িটির বনেট খুলে ও তার চারিপাশ ঘুরে ভদ্রলোক একমনে গাড়িটির পর্যবেক্ষণ করার পরে ওনার দু চক্ষু একেবারে ছানাবড়া।
-এ তো একেবারে নতুন গাড়ি..! -না, একেবারে নতুন না, ১৫০০০ কিমি চলেছে, তবে উনি গাড়ির খুব যত্ন করতেন।
-কিন্তু কাগজের বিজ্ঞাপনে যে দেখলাম এর দাম ছাপা হয়েছে, ১০০ টাকা। ঠিকই দেখেছেন, ১০০ টাকাই আমি এর দাম ঠিক করেছি। আপনি ১০০ টাকা দিয়ে নিয়ে যেতে পারেন গাড়িটি।
ভদ্রলোকের উত্তেজনা তখন চরমে। মাথা ভোঁ ভোঁ করছে। হৃদয়ের গতি তীব্র থেকে তীব্রতর। কম্পিত হস্তে উনি পকেট থেকে ১০০ টাকার একটি নোট বার করে সেই প্রৌঢ়ার হাতে দেন।
ভদ্রমহিলা টাকা হাতে পেয়ে তৎক্ষনাৎ সেই টাকার একখানা রসিদ তৈরি করে তার সঙ্গে গাড়ির কাগজপত্র ও চাবি ভদ্রলোকের হাতে ধরিয়ে দেন।
থাকতে না পেরে এবার ভদ্রলোক নিজের মুখ খোলেন-দিদি, একবার যদি দয়া করে বলে দেন, ব্যপারটা কি। এই ধাঁধা আমার মাথায় কিছুতেই ঢুকছে না আর এই সাস্পেন্সের সমাধান না করতে পারলে আমি রাতে ঘুমতে পারব না। প্লিইইইজ দিদি..!!
-এতে কোনোই সাস্পেন্স নেই ভাই। আমি তো শুধুমাত্র আমার স্বর্গীয় স্বামীদেবতার শেষ ইচ্ছে পূর্ণ করছি। উনি নিজের উইলে লিখে গেছেন ওনার মৃত্যুর পর এই গাড়িটা যেন বিক্রি করে দেওয়া হয় এবং বিক্রির দারুন যে টাকা পাওয়া যাবে সেটা যেন ওনার ২৮ বছরের সুন্দরী সেক্রেটারিকে দেয়া হয়।
বার্তা কক্ষ
১১ মার্চ, ২০১৯
চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur