চাঁদপুর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-১ সোমবার ৫ (মার্চ) কল্যাণপুর ইউনিয়নের বিদ্যুৎ গ্রাহকদের ঘরে ঘরে ফেব্রুয়ারি মাসের বিলের কপিসহ একটি চিঠি প্রেরণ করেছে। চিঠি নিয়ে গ্রাহকদের মাঝে নানা প্রতিক্রিয়াসহ একপ্রকার ধুম্রজাল তৈরি হয়েছে।
চিঠিটির মর্ম পড়ে জানা যায় , চিঠিতে একজন গ্রাহকের হিসাব নম্বর, চুক্তিবদ্ধ লোডের পরিমাপ ও বর্তমান ব্যবহৃত কিলোওয়াট লোড উল্লেখ করেছেন এবং চুক্তিবর্র্হিভূত বর্ধিত কিলোওয়াট লোডের জন্যে ৪ শ’ টাকা জামানত হিসেবে জমা দানে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
কোনো কোনো টিঠিতে টাকার পরিমাণ বেশিও আছে। চিঠিটি দেখলে মনে হয় এটি কোনো অফিসিয়্যাল আদেশ নয়। যেনতেন একটি কম্পিউটার কম্পোজ করা চিঠি। এক কথা এটাকে উড়ো চিঠিই বলা যায়।
এছাড়াও সম্বোধন করেছেন ‘ জনাব / জনাবা ’ দু ’ টো শব্দ দিয়ে। অথচ ‘ জনাব শব্দের স্ত্রী লিঙ্গ’ হিসেবে ‘ জনাবা ’ উল্লেখ করেছেন। যার অর্থ নিচক একটি ইতর প্রাণীর স্ত্রী লিঙ্গের অর্থ বুঝায়।
গ্রাহকদের মধ্যে বেশ ক’জন জানান, চিঠিটিতে কোনো তারিখ,সংশ্লিষ্ঠ স্বাক্ষরদাতার স্বাক্ষর, কোথায় ও ক’দিনের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে তা’ উল্লেখ নেই। ফলে গ্রাহকগণ দ্বিধাদ্বন্দে¦ ভুগছেন। আবার কেউ কেউ বলছেন, ‘২৫-৩০ বছর আগে বিদ্যুৎ বিভাগের শর্ত মেনেই গ্রাহক হয়েছি এবং মিটার সংযোগ পেয়ে বিদ্যুৎ ব্যবহার করে বছরের পর বছর বিল পরিশোধ করে আসছি। এখন নতুনভাবে জামানত দিতে হবে কেন ? ’
এ প্রশ্নের জবাব খুঁজতে চাঁদপুর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-১ এর তরপুরচন্ডীর অফিসে যাওয়া হয়। চাঁদপুর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-১ এর সহকারী জেনারেল ম্যানেজার মি. রাজন পাল চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, ‘ গ্রাহকরা ২০-২৫ বছর আগে তাদের যে চুক্তিতে মিটার পেয়েছে এবং তারা এখন বিদ্যুৎ বিভাগের ঔ শর্ত ভেঙ্গে তার চেয়েও প্রায় দ্বিগুণ-তিনগুণ বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার করছেন। বিদ্যুৎ ব্যবহারের তারতম্য ঘটায় এ জামানত চার্জ করা হয়েছে।’
তিনি আরো জানান, আরইবি’র নির্দেশে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি এ চার্জ নির্ধারণ করেছে। বিলের সাথে এর কোনোই সম্পর্ক নেই। কেননা এটি জামানত। অপর প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, চিঠিটি পিডিএফ ফাইলে করা। তাই এখানে কারো হাত নেই।
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৭ মার্চ, ২০১৯
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur