সংস্কার কাজ চলমান থাকা অবস্থাতেই ভাঙন দেখা দিয়েছে চাঁদপুর-রায়পুর আঞ্চলিক মহাসড়কে। ফাগুনে কয়েক দিনের বৃষ্টিতে সড়কের বিভিন্ন স্থানে মাটি সরে গিয়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
এতে যে কোনো সময় ব্যস্ততম এ সড়কে বিভিন্ন যানাবহনের চাকা ফেঁসে যাওয়াসহ বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।
কুমিল্লা, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী হয়ে বন্দরনগরী চট্টগ্রাম যাওয়ার এ সড়কটির গুরুত্ব বিবেচনায় দু’পাশ প্রশস্ত করে সড়ক সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
সওজ সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুর-কুমিল্লা সড়কের মুদাফফরগঞ্জ থেকে ওয়্যারলেছ হয়ে চাঁদপুর-ফরিদগঞ্জ-রায়পুর সড়কের বর্ডার বাজার পর্যন্ত ৬০ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়নে ১০০ কোটি টাকা ব্যয় নির্ধারণ করা হয়।
সে অনুযায়ী শুরু হয় কাজ। কিন্তু সংস্কার ও প্রশস্তকরণের কাজ শেষ না হতেই সড়কটিতে ভাঙন দেখা দেয়। এতে কাজের গুণগত মান নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
কুমিল্লা থেকে নোয়াখালী পর্যন্ত সড়ক কয়েকটি অংশে ভাগ করে দরপত্র আহ্বান করে সওজ কর্তৃপক্ষ। সে অনুযায়ী চাঁদপুরের পল্লী বিদ্যুৎ এলাকা থেকে ফরিদগঞ্জের বর্ডার বাজার পর্যন্ত ৫৯ কিলোমিটার সড়কের কাজ পায় রানা বিল্ডার্স ও মোনায়েম কনস্ট্রাকশন নামে যৌথ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। প্রায় সাড়ে ৪৮ কোটি টাকা ধরা হয় এর ব্যয়।
২০১৭ সালের ৩ মার্চ কাজ শুরু হয়ে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে এ বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে। সে অনুযায়ী এ অংশের কাজ মোটামুটি শেষের দিকে। এদিকে সড়ক প্রশস্তকরণের সময় কাজের অনিয়ম নিয়েও অভিযোগ তোলেন এলাকার লোকজন।
সড়কের দু’পাশে তিন ফুট করে প্রশস্ত করার যে কাজ করা হয়, সেখানে নিয়ম মেনে কংক্রিট ও বালু ফেলা হয়নি। তারা দাবি করেন, ইটের কংক্রিটের চেয়ে বালুর পরিমাণ ছিল বেশি। এদিকে সরেজমিন দেখা গেছে, ভাঙনের স্থানে যে বালু ও কংক্রিট বেরিয়ে এসেছে তাতে কংক্রিটের পরিমাণ খুবই কম এবং প্রশস্ত করার পর ডোবা ও খালের পাশে প্যালাসাইডিং করে যে পরিমাণ মাটি ফেলার কথা তাও করা হয়নি।
তাই গত কয়দিনে বৃষ্টিতে সড়কের বর্ধিত অংশের মাটি সরে গিয়ে বিভিন্ন স্থানে ভাঙতে শুরু করেছে। এ পরিস্থিতিতে ফের দ্রুত সংস্কার কাজ শুরু না করা হলে সড়কটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এ ব্যাপারে চাঁদপুর সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে আসার পর আমরা সরেজমিন দেখতে গিয়েছি। এ ব্যাপারে আমরা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে তাগাদা দিচ্ছি ভাঙন অংশে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে।
মি. জহির আরো জানান, ‘ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এখনও আমাদের কাজ বুঝিয়ে দেয়নি। কাজ বুঝে পাওয়ার পর দুই বছরের মধ্যে যদি সড়কে ভাঙন কিংবা কোনো ক্ষতি হয় তাহলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তা মেরামত করে দেওয়ার বিধান রয়েছে।’
আরো পড়ুন- চাঁদপুরে ২১৫ কোটি টাকায় ৩৭০ কি.মি. সড়ক মেরামতের কাজ চলছে
বার্তা কক্ষ
৬ মার্চ, ২০১৯
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur