১৯তম প্রাণ জাতীয় আচার প্রতিযোগিতা-২০১৮ এর বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে। আচার বানিয়ে ঢাকার মোহাম্মদপুরের নওরীন আহসান জিতে নিয়েছেন দুই লাখ টাকার পুরস্কার। সারাদেশ থেকে ৩ হাজার ৭৯৬ জন প্রতিযোগীর পাঠানো ৭ হাজার ৮৯২টি আচারের মধ্য থেকে ২০১৮ সালের ‘বর্ষসেরা আচার’ হিসেবে তার আচার নির্বাচিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা.দীপু মনি বলেন,‘আচার আমাদের ঐতিহ্যের অংশ। আমাদের নারীরা বহুকাল থেকে বাড়িতে আচার তৈরি করে আসছেন যা আমাদের খাবারের অভিজ্ঞতাকে আনন্দময় করে তোলে। কিন্তু আচার তৈরি করে নারীরা সেটাকে বাণিজ্যিক পণ্য হিসেবে বিবেচনা করতেন না। নারীদের এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে এই প্রতিযোগিতাটি একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করছ।’
শুক্রবার(১৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী আহসান খান চৌধুরী, পরিচালক (কর্পোরেট ফাইন্যান্স) উজমা চৌধুরী, প্রাণ গ্রুপ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইলিয়াছ মৃধা ও চ্যানেল আইয়ের নির্বাহী পরিচালক ইসরারুল হকসহ সারাদেশ থেকে আসা প্রতিযোগিরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আহসান খান চৌধুরী বলেন, ‘প্রাণ গ্রুপ সবসময় এদেশের সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে ব্যবসায় পরিচালনা করে আসছে। কৃষকদের উৎপাদিত ফসলই “প্রাণ” এর প্রাণ। এদেশের কৃষকের পণ্য নিয়েই প্রাণ বিশ্ববাজারে যাচ্ছে এবং বাংলাদেশের “প্রাণ” হিসেবে বিশ্বে পরিচিত হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘নারীর ক্ষমতায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে প্রাণ গ্রুপ। নারীদের কাজকে সম্মান জানাতেই আমরা ১৯ বছর ধরে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছি।’
প্রতিবারের মতো এবারো বর্ষসেরা আচার বিজয়ীর পাশাপাশি টক, ঝাল, মিষ্টি ও অন্যান্য-এই চারটি বিভাগ থেকে ১২ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।
টক বিভাগে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছেন যথাক্রমে চট্টগ্রামের নূরী মুসাইয়াদাহ, ঢাকার শাবানা ও নারায়ণগঞ্জের আফিয়া আজিজা।
মিষ্টি বিভাগে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছেন যথাক্রমে যশোরের সৈয়দা আসমা, ঢাকার রাফেজা রশীদ ও টাঙ্গাইলের ছালমা মালেক।
ঝাল বিভাগে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছেন যথাক্রমে বরিশালের আবিদা সুলতানা, ঢাকার শারমিন জামান ও খুলনার মর্জিনা খানম।
অন্যান্য বিভাগে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছেন যথাক্রমে ঢাকার ফারজানা আফরিন, লায়লা ইয়াসমিন ও খুলনার অপরুপা।
প্রতিটি বিভাগের প্রথমস্থান অধিকারীকে ৫০ হাজার টাকা, দ্বিতীয়কে ওয়াশিং মেশিন এবং তৃতীয়কে মাইক্রোওয়েভ ওভেন পুরস্কার হিসেবে দেয়া হয়। এ ছাড়া ৩৫ জন পান শুভেচ্ছা পুরস্কার।
গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের খাদ্য ও পুষ্টি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোফাসসারা সুলতানা রত্নার নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি বিচারক প্যানেল প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বের বিজয়ীদের নির্বাচন করেন।
এ সময় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী সালমা, সুরের ধারার শিল্পীরাসহ অন্যান্যরা। এ ছাড়াও সম্মেলন কেন্দ্রের বাইরে দিনব্যাপী আচার উৎসবের আয়োজন করা হয়।
বার্তা কক্ষ
১৫ ফেব্রুয়ারি,২০১৯
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur