চাঁদপুর হাজীগঞ্জে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীতা ঘোষণা দিয়ে হ্যাটট্টিক করার আশা প্রকাশ করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব অধ্যাপক আবদুর রশিদ মজুমদার। তিনি টানা দ্বিতীয় মেয়াদে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে তিনি দেশের শ্রেষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক আদর্শ বাস্তবায়নে, দলীয় সভানেত্রী, জননেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চলমান উন্নয়ন কর্মকান্ডকে এগিয়ে নিতে এবং ভিশন ২১ ও ৪১ তৃণমূলে বাস্তবায়নে একজন ক্ষুদ্র অংশিদার হয়ে সক্রিয়ভাবে জড়িত থেকে কাজ করার জন্য উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে আবারো নিজের প্রার্থীতা ঘোষণা দিয়েছেন অধ্যাপক আবদুর রশিদ মজুমদার।
পৌরসভাধীন মকিমাবাদ গ্রামের মজুমদার বাড়ির মৃত আলহাজ্ব আ. মতিন মজুমদারের ছেলে আলহাজ্ব অধ্যাপক আবদুর রশিদ মজুমদার। বিএ (সম্মান) ও এমএ অর্থনীতি’তে ডিগ্রিধারী অধ্যাপক আব্দুর রশিদ মজুমদার ১৯৮০সালে হাজীগঞ্জ ডিগ্রী কলেজে শিক্ষকতার মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন। এরপর ২০০৮ সাল পর্যন্ত তিনি কর্মরত ছিলেন।
ছাত্রলীগের প্রার্থী হিসেবে ১৯৬৯ সালে আমিন মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হয়ে ১৯৭০ সালের নির্বাচনে সক্রিয়ভাবে অংশ গ্রহণ করেন অধ্যাপক আবদুর রশিদ মজুমদার । ১৯৭১ সালে জীবনবাজী রেখে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে তিনি। যুদ্ধপরবর্তীকালীন সময়ে দেশ ও জাতীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ সন্তান আতাউল গনি ওসমানী হতে যুদ্ধে অংশগ্রহণের স্বীকৃতিসরুপ সনদপত্র (নং- ৮৫৫৯৯) গ্রহণ করে তিনি।
২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে অধ্যাপক আবদুর রশিদ মজুমদার দেশের শ্রেষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার হতে পুরস্কার ও এ্যায়ওয়ার্ড লাভ করে উপজেলাকে সম্মানিত করেছেন। এরপর তিনি ২০১৪ সালে টানা দ্বিতীয় মেয়াদে উপজেলা চেয়ার্যান নির্বাচিত হয়ে অদ্যাবধি পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এর আগে তিনি হাজীগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান হিসেবে দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
১৯৭২ সালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ ও পরবর্তীতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সক্রিয় সদস্য ছিলেন অধ্যাপক আবদুর রশিদ মজুমদার। ১৯৮৬ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী আ. রব, ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালে মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম এর নৌকা প্রতীকের চিপ এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করে নৌকার বিজয় অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখেন।
২০০১ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও চিপ এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন অধ্যাপক আবদুর রশিদ মজমুদার। কিন্তু তখন নির্বাচনী কারচুপির মাধ্যমে আওয়ামী লীগের বিজয় ছিনিয়ে নেয়া হয়। ১৯৬৯ সালে ছাত্রলীগের প্রার্থী হিসেবে আমিন মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের ভিপির হওয়ার পর থেকে, আজ পর্যন্ত তিনি জাতীয় ও স্থানীয় সকল নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনিত ও সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে প্রত্যক্ষ কাজ করে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখেছেন তিনি।
২০০০ সালে উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ ভোটে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে দলীয় সংবিধান মেনে সু-শৃঙ্খলভাবে দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করেন অধ্যাপক আবদুর রশিদ মজুমদার। বর্তমানে তিনি জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মানিত সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
অধ্যাপক আবদুর রশিদ মজুমদার জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি শিক্ষা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃত্ব ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং করে আসছেন। তার মধ্যে অন্যতম রোটারী ক্লাব অব হাজীগঞ্জ, আমিন মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়, হাজীগঞ্জ বনফুল সংঘ, হাজীগঞ্জ সবুজ সংঘ, হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদ কমপ্লেক্স, হাজীগঞ্জ মডেল হাসপাতাল, হাজীগঞ্জ ব্লাড ডোনার্স ক্লাব।
প্রতিবেদক:জহিরুল ইসলাম জয়
১৬ জানুয়ারি,২০১৯