জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে প্রার্থী হতে পারবেন নারী পরিচয়ে ভোটার হওয়া তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে পরিচিত হিজড়া সম্প্রদায়ের সদস্যরা। তবে তাদের মধ্যে যারা ভোটার হওয়ার ফরমে নারী পরিচয়ের অপশন পূরণ করেননি, তারা প্রার্থী হতে পারবেন না।
মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এসব তথ্য জানান।
সরকার পাঁচ বছর আগে হিজড়াদের তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় নির্বাচন কমিশন গত বছরের মাঝামাঝি তাদেরকে তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে ভোটার করার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে, এখনও ভোটার ফরমে তৃতীয় লিঙ্গের অপশনটি অন্তর্ভুক্ত করেনি।
বিদ্যমান আইন অনুসারে হিজড়াদের নারী বা পুরুষ পরিচয়ে ভোটার হওয়ার সুযোগ রয়েছে। এই বিধান মেনে অনেক হিজড়া আগে থেকেই ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছেন। এক্ষেত্রে বেশিরভাগ হিজড়া নারী পরিচয়ে ভোটার হয়েছেন বলে ইসি সূত্রে জানা গেছে।
সংরক্ষিত আসনে তৃতীয় লিঙ্গের কোনও ব্যক্তি প্রার্থী হতে পারবেন কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ‘হিজড়ারা তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে আছেন। তবে যদি ভোটার হওয়ার ফরমে কেউ নারী হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকেন, তবে তিনি প্রার্থী হতে পারবেন।’
সংরক্ষিত আসনের নির্বাচনি আইন অনুযায়ী, দেশের যোগ্যতাসম্পন্ন যেকোনও নারীই সংরক্ষিত আসনের প্রার্থী হতে পারবেন। তবে এজন্য একজন প্রস্তাবক ও সমর্থক হতে হবে সংসদ সদস্যদের মধ্য থেকে।
প্রসঙ্গত, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংরক্ষিত নারী আসনের জন্য তৃতীয় লিঙ্গের আট জন ফরম তুলেছেন।
জাতীয় সংসদের ৩৫০টি আসনের মধ্যে ৫০টি নারীদের জন্য সংরক্ষিত। ৩০০ আসনে সরাসরি ভোট হলেও সংরক্ষিত আসন বণ্টন হয় ভোটে জয়ী দলগুলোর আসন সংখ্যার অনুপাতে।
আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতিতে এবার আওয়ামী লীগ ৪৩টি, জাতীয় পার্টি চারটি, বিএনপি একটি, স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ অন্যান্য দল ও জোট দুটি সংরক্ষিত আসন পাবে।
আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি সংরক্ষিত আসনের নির্বাচনি তফসিল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন।
বার্তাকক্ষ
২ জানুয়ারি ২০১৯