Monday, April 27, 2015 02:48:38 PM
জিসান আহমেদ নান্নু, কচুয়া করসপন্ডেন্ট :
কচুয়ায় দু’ সহোদরের উপর প্রতিপক্ষের হামলা, বাড়িঘর ভাংচুর ও নগদ টাকা লুটে নেয়ার ঘটনায় হামলাকারী ২ জন গ্রেফতার হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে উপজেলার বাইছারা গ্রামের মাওঃ আবুল হাছানাতের পুত্র আল আমিন (২০) ও রায়হান (১৮)। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পক্ষে কাজী আঃ বাতেন বাদী হয়ে কচুয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ এপ্রিল দুপুরে উপজেলার বাইছারা গ্রামের মৃত: মনু মিয়ার ছেলে কাজী সোলেমান ও কাজী আঃ বাতেনদের সাথে সম্পত্তির ভাগ ভাটোয়ারা নিয়ে একই গ্রামের মাওঃ আবুল হাছানাত গংদের শালিস বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। শালিস বৈঠকে সম্পত্তিগত বিষয় নিয়ে উভয়ের মধ্যে তর্ক বিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে মাও: আবুল হাছানাতের নেতৃত্বে কাজী সোলেমান গংদের বাড়ীতে এসে অনাধিকার ভাবে প্রবেশ করে তার ছেলে (মাওঃ আবুল হাছানাত) সাইফুল, আল আমিন, রায়হান, রিয়াদ ও তাছলিমা বেগম সহ বেশ কিছু বেশ কিছু উশৃঙ্খল লোকজন দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র দিয়ে কাজী সোলেমানের উপর অর্তকিত হামলা চালায়।
এতে কাজী আঃ বাতেন, তার মা সাফিয়া খাতুন ও বোন সালমা আক্তার এগিয়ে আসলে হামলা কারীরা তাদেরকেও বেদম মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে। পরে স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে আহতদের গুরতর অবস্থায় উদ্ধার করে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে ভর্তি করে। আহতদের মধ্যে কাজী সোলেমানের অবস্থা আশংকাজনক।
হামলাকারীরা এ সময় সালমা আক্তারকে শ্লীলতাহানি করে তার সাথে থাকা ৪৫ হাজার টাকা মূল্যের এক ভরি স্বর্ণের চেইন, সোলেমান কাজীর বিছানার নিচে থাকা চান্দিনা গল¬াই আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক থেকে উত্তোলনকৃত নগদ ৬ লক্ষ ৫ হাজার টাকা নিয়ে যায় বলে মামলায় উল্লেখ করেন।
এদিকে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরতর আহত বিতারা ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক কাজী আঃ বাতেন জানান, প্রতিপক্ষ লোকজন পূর্ব থেকে আমাদেরকে সম্পত্তিগত বিষয় নিয়ে বিভিন্ন সময় কারণে অকারণে হামলা মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছে। ঘটনার দিন আমাদেরকে মারধর করে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে। এ ছাড়া ওই ঘটনায় থানায় মাামলা করায় প্রতিপক্ষ লোকজন বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে বলে তিনি দাবী করেন। অপরদিকে ঘটনার অন্যতম হোতা ১নং আসামী সাইফুল ইসলাম বর্তমানে পালিয়ে বিদেশ যাওয়ার পায়তারা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ ব্যাপারে কচুয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা মোঃ নূরুল আলম জানান, এই মামলার আমরা ১ আসামী ও বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে অপর ১ আসামী গ্রেফতার হয়েছে, বাকীদের গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চলছে।
এমআরআর/জিএএন/২০১৫
নিয়মিত আপনার ফেসবুকে নিউজ পেতে লাইক দিন : https://www.facebook.com/chandpurtimesonline/likes