ঝালকাঠিতে মালবোঝাই একটি কার্গোর সঙ্গে ধাক্কা লেগে ঢাকাগামী যাত্রীবাহী লঞ্চ শাহরুখ-১ এর তলায় ফাটল ধরে। পরে লঞ্চে পানি ঢুকতে থাকলে বরিশাল নৌবন্দরে লঞ্চটি থামিয়ে প্রায় দেড় হাজার যাত্রীকে নিরাপদে নামানো হয়।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিষখালী নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বিআইডব্লিটিএ কর্তৃপক্ষ জানায়, কার্গোর সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে বরগুনা থেকে ঢাকাগামী ‘শাহরুখ-১’ লঞ্চটির তলা ফেটে যায়। এতে দেড় হাজার যাত্রী বেঝাই লঞ্চটিতে পানি ঢুকতে থাকে।
এক পর্যায়ে লঞ্চটি দ্রুত বরিশাল নৌ বন্দরে নোঙর করে যাত্রীদের নামিয়ে দেয়া হয়। পাশাপাশি লঞ্চটির যাত্রাও স্থগিত করা হয়। তবে এতে কেউ হতাহত হননি।
যাত্রীরা জানান, ঝালকাঠির বিষখালী নদীতে মঙ্গলবার (২৮ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে ‘শাহরুখ-১’ লঞ্চটির সঙ্গে কার্গোর মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় লঞ্চটির তলা ফেটে ভিতরে পানি প্রবেশ করতে থাকে। কিন্তু সেসময় যাত্রীরা অনেকবার লঞ্চ মাস্টারকে নোঙর করতে বললেও তিনি তা শোনেননি।
যাত্রীদের অভিযোগ, প্রথম থেকেই সার্চলাইট না জ্বালিয়ে বেপরোয়াভাবে লঞ্চ চালাচ্ছিলেন মাস্টার। এক পর্যায়ে যাত্রীরা চিৎকার শুরু করলে মাস্টার বাধ্য হয়ে বরিশাল নদী বন্দরে লঞ্চটি নোঙর করেন। পরে বিআইডব্লিউটিএ, নৌ পুলিশ ও থানা পুলিশ লঞ্চটির যাত্রা স্থগিতের নির্দেশ দেন।
এদিকে ‘শাহরুখ-১’ লঞ্চের মাস্টার উজির আলী বলেন, ‘কার্গোর সঙ্গে সংঘর্ষে লঞ্চটির তলায় সামান্য অংশ ফেটে গিয়েছিল। এতে কোনো সমস্যা হতো না। তবে যাত্রীদের কারণে লঞ্চ নোঙর করা হয়েছে।’
বরিশাল বিআইডব্লিউটিএর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপ-পরিচালক আজমল হুদা মিঠু সরকার বলেন, নৌ পরিবহন অধিদফতরের শিপ সার্ভেয়াররা লঞ্চটি পর্যবেক্ষণ করছেন। পূর্ণাঙ্গ সার্ভে না করা পর্যন্ত লঞ্চটিকে যাত্রার জন্য উপযোগী বলা যাচ্ছে না। তাই লঞ্চটির যাত্রা বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশি যেকোনো অবস্থাতে লঞ্চটিকে বরিশাল নদীবন্দর থেকে অন্য কোথাও না নেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। লঞ্চটি এই অবস্থায় চললে মেঘনা নদীতে গিয়ে বড় দুর্ঘটনার মুখে পড়তে পারত।
এছাড়া যাত্রীদের ব্যাপারে উপ-পরিচালক বলেন, বিকল্প লঞ্চ না আসায় বুধবার সকাল পর্যন্ত যাত্রীদের বন্দরে অবস্থান নিতে হয়েছে। নৌ ও থানা পুলিশ নিরাপত্তার জন্য সারারাত বন্দরেই ছিল।(জাগো নিউজ)
বার্তা কক্ষ