নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার সোনাকান্দা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিএনপি প্রার্থী এসএম আকরামের সমাবেশে ছিল শুক্রবার বিকেলে। সমাবেশে যোগ দিতে যাওয়ার সময় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের গাড়িবহরকে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে সংবাদ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার (২১ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে তিনটার দিকে নারায়ণগঞ্জের মদনপুর চৌরাস্তায় বাধা দেওয়া হয়। এ সময় বন্দর মদনপুর সড়কের প্রবেশ মুখে শুকনা কাঠ ও বাঁশে আগুন লাগিয়ে সড়ক অবরোধ করা হয়। এতে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক প্রায় ২০ থেকে ২৫ মিনিট যান চলাচল বন্ধ ছিল।
সমাবেশে যোগ দিতে দুপুর আড়াইটায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয় থেকে রওয়ানা হন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফখরুলের গাড়িবহর কাচপুর সেতু পার হওয়ার পর খবর আসে মদনপুর মোড়ে হামলা হতে পারে।
এ খবরে নয়াবাড়িতে ফখরুলের গাড়িবহর থামানো হয়। পরে নারায়ণগঞ্জের আলোচিত (বিএনপির পক্ষ থেকে বিতর্কিত) এসপি হারুন এসে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে অভয় দিয়ে বিপুল সংখ্যক পুলিশি নিরাপত্তা সহকারে বন্দর পৌঁছে দেন।
বিকেল ৪টায় সোনাকান্দা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের সমাবেশে যোগ দেন মির্জা ফখরুল।
সভায় আরও উপস্থিত আছেন ঐক্যফ্রন্ট নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি আসনে ধানের শীষের প্রার্থীরা।
এদিকে সভাস্থলের কাছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সেখানে রাখা হয়েছে সাজোয়া যান। প্রস্তুত রাখা হয়েছে মোবাইল টিমসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্যদেরও।
চেষ্টা করেও সভামঞ্চ তৈরি করতে পারেননি বলে দাবি করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের প্রার্থী এসএম আকরাম। তিনি বলেন, শত চেষ্টা করেও এখানে মঞ্চ তৈরি করতে পারিনি। বাধার সম্মুখিন হয়েছে। পরে একাধিক ট্রাক আনতে চেয়েও ব্যর্থ হই। পরে একটি ট্রাক নিয়ে এসে সেটাকে মঞ্চ বানিয়েছে।
শুক্রবার (২১ ডিসেম্বর) সোনাকান্দা স্টেডিয়ামের কাছে ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনী জনসভাস্থলে ওই কথা জানান তিনি।
এসময় আকরাম আরও অভিযোগ করেস, কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে সভাস্থলের দিকে আসতে দেওয়া হচ্ছে না। বাধা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের শৃঙ্খলা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বাধা পেলেও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ আসবেন। আপনারা ধৈর্য ধরেন। তারা যদি এসে দেখেন আপনার উশৃঙ্খলতা করছেন তাহলে আপনারা ফেল। আমিও ফেল।
বার্তা কক্ষ
২১ ডিসেম্বর, ২০১৮