মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে ১২ বছর পর স্বামী বিদেশ থেকে দেশে এলে তার সঙ্গে একদিন সংসার করে পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়েছেন তার স্ত্রী।
পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে পালানোর পরদিন স্বামীকে মোবাইল করে স্ত্রী বলেন, চার মাস আগেই তোমাকে আমি তালাক দিয়েছি। এ ঘটনায় গত রোববার প্রবাসফেরত স্বামী বাদী হয়ে স্ত্রী ও তার পরকীয়া প্রেমিকের বিরুদ্ধে মুন্সীগঞ্জ আদালতে মামলা করেন।
মামলার অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ভাগ্যকূল মান্দ্রা এলাকার সৌদিপ্রবাসী আবুল কালামের সঙ্গে ১২ বছর আগে একই এলাকার কাদির দেওয়ানের মেয়ে মুক্তা আক্তারের বিয়ে হয়।
বিয়ের পর আবুল কালাম সৌদিআরব চলে যান। বিদেশে থাকাবস্থায় তার অর্জিত সব টাকা স্ত্রী মুক্তা আক্তারের নামে ন্যাশনাল ব্যাংক ভাগ্যকূল শাখার অ্যাকাউন্টে পাঠান।
গত শুক্রবার (২৫ মে) আবুল কালাম দেশে এলে স্বামীর সঙ্গে একদিন থাকার পরই স্ত্রী মুক্তা আক্তার সিরাজদিখান উপজেলার মালখানগর এলাকার আ. শহীদের ছেলে নাহিদের সঙ্গে পালিয়ে যান। পালিয়ে যাওয়ার সময় মুক্তা ১১ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ সাড়ে ৯ লাখ টাকা নিয়ে গেছে বলে দাবি করেন আবুল কালাম।
একই সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার একদিন পর মুক্তা মোবাইল ফোনে স্বামীকে জানায়, আমি আবুল কালামকে গত ফেব্রুয়ারি মাসে তালাক দিয়েছি।
জীবনের সব সঞ্চয় হারিয়ে আবুল কালাম আবেগতাড়িত হয়ে বলেন, সর্বশেষ স্বর্ণালংকারটুকু হাতিয়ে নেয়ার জন্য হয়তো অপেক্ষায় ছিল। তাই বিদেশ থেকে আসার পর একদিন ঘর করেই পালিয়ে গেছে। তালাক প্রদান করে থাকলে আবুল কালামের সঙ্গে কীভাবে ঘর করল এ নিয়ে এলাকায় নানা রকম আলোচনা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে মুক্তা আক্তারের মা রানু বেগম জানান, স্বামীর বাড়ি থেকেই তার মেয়ে অন্য কোথাও চলে গেছে। এখন আর তার সঙ্গে আমাদের কোনো যোগাযোগ নেই।
বিষয়টি নিশ্চিত করে শ্রীনগর থানা পুলিশের ওসি এসএম আলমগীর হোসেন বলেন, এ বিষয়ে গত ২৭ মে কোর্টে মামলা হয়েছে। তবে কোর্টের কাগজ এখন পর্যন্ত থানায় এসে পৌঁছায়নি। কাগজপত্র পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।