শাহরাস্তি উপজেলার আহম্মদ নগর গ্রামের কুয়েত প্রবাসী বাবুলকে হত্যার অভিযোগে তার বাগিনা (বাবুলের বোনের ছেলে) ছোলাইমান আটক করা হয়েছে। সোমবার (২৭ মে) চাঁদপুর আদালতে জামিন চাইতে গেলে তার জামিন না মঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেয় আদালত।
একই মামলার অপর আসামী ইন্দনদাতা বাবুলের বোন ফিরোজা বেগমকে জামিন দেয় আদালত। এবিষয়ে নিখোঁজ ববাবুলের পরিবার বাদী হয়ে চাঁদপুর আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন, যার জিআর নং ৯৮/১৮।
এদিকে গত এপ্রিল মাসে ছোলাইমানের দু’ভাইকে কুয়েতি পুলিশ আটক করে তাদের রিমান্ডে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তাদের মাধ্যমে বাবুলের নিখোঁজের রহস্য তার ভাই ছোলাইমান জানে বলে স্বীকারোক্তি দেয়। এই ঘটনায় কুয়েত প্রবাসী রায়শ্রী দক্ষিণ ইউপির নোয়াপাড়া গ্রামের মোঃ আবুল বাসারের সাথে বড় ধরণের আর্থিক লেনদেন রয়েছে। হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে তাকেও রিমান্ডে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে বাসারও একই বক্তব্য দেয়। এরপর মোটা অংকের লেনদেনের মাধ্যমে আবুল বাসার বাংলাদেশে চলে আসে।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার সূত্রে জানা যায়, ১০ মাস পূর্বে বাবুল নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা ঘটে। একই রুমে বাবুল তার বাগিনা ছোলাইমান ও কুতুবউদ্দিনের সাথে থাকতো। ছোলাইমানের সাথে ব্যবসায়িক লেনদেন রয়েছে বাবুলের। বাবুল নিখোঁজ হওয়ার পূর্বে তার মা,স্ত্রী,পুত্র ও কন্যা সবাইকে জানিয়েছেন তার বাগিনা ছোলাইমান ঘুমের মধ্যে তাকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার চেস্টা চালায়।
বাবুলের ঘুম না আসায় ওই রাতে তিনি বেঁচে যান এবং এ ঘটনা পরিবারের লোকজনকে অবহিত করেন। তার মৃত্যুর জন্য ছোলাইমানই দায়ী বলে অসিয়ত করেন। ঘটনার ৩-৪ মাস পরই একই রুমে থাকা বাবুল নিখোঁজ হওয়ার সাথে সাথে ছোলাইমান বাংলাদেশে চলে আসে।
পরিবারের একমাত্র উপার্জন কারী বাবুলকে হারিয়ে দুঃখের সাগরে বাসছে পরিবারটি। শত বছরের বৃদ্ধা মা ছেলে হারিয়ে বাকরুদ্ধ।স্ত্রী ২ ছেলে ২ মেয়ে নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করে আসছে।
এদিকে বাদী পক্ষকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য ছোলাইমানের পরিবার হুমকি ধমকি প্রদান করছে। এবিষয়ে বাবুলের ছেলে শাহাদাত জানান, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য প্রভাবশালী নেতারা রফাদফা করার চেস্টা করে যাচ্ছে। এ ছাড়াও ছোলাইমানের জামিনের জন্য মোটা অংকের অর্থের প্রলোভন দিয়ে দৌড় ঝাপ দিচ্ছে। আমি ও আমার পরিবারকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। আমরা জীবনের নিরাপত্তা হীনতায় ভূগছি।
আমি ও আমার পরিবার আজকে আমরা অসহায় মানবেতর জীবন জাপন করছি। আমি পিতা হত্যার ন্যায় বিচার চাই। আমাদেরকে আজ যারা ইয়াতীম বানালো আমি তাদের সর্বোচ্ছ শাস্তি মৃত্যুদন্ড চাই। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিস্ট প্রশাসনের সার্বিক হযোগিতা কামনা করছি।
শাহরাস্তি করেসপন্ডেন্ট
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur