বিরল রোগে আক্রান্ত হয়ে অর্থাভাবে বিনা চিকিৎসায় ভোগছেন সীমা আক্তার (১৪) নামের এক কিশোরী। পরিবারের সামর্থ অনুযায়ী প্রাথমিক চিকিৎসা করালেও আর্থিক অসচ্ছলতার কারনে উন্নত চিকিৎসা না পাওয়ায় দীর্ঘ ৫ বছর ধরে এমন অজানা রোগে আক্রান্ত হয়ে আছে সীমা। সীমা আক্তার কচুয়া উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের আব্দুল মালেক হাজীর মেয়ে।
শনিবার (১২ মে) দুপুরে চাঁদপুর সরকারি জেসনারেল হাসপাতালের মহিলা ওয়ার্ডের সার্জারী বিভাগে দেখা মিলে কিশোরী সীমা আক্তারের। তার মা নাজমা বেগম এ প্রতিবেদককে জানায়, পাঁচ বছর পূর্বে সীমা আক্তার নোয়াগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করা অবস্থায় এ রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে।
নাজমা বেগম আরো জানান, প্রথমে সীমা আক্তারের বাম পায়ের রানে শক্ত হয়ে যেতে দেখেন। তার কয়েকদিন পর হাটুর পাশে চুলকাতে থাকে। এর কিছুদিন পর হাটুর পাশে মাংস ছিদ্র হয়ে যায় এবং ওই স্থান থেকে রক্ত পুঁজ বের হতে থাকে।
এ অবস্থায় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। কিন্তু তাতে রোগটি ভালো হয়নি। এভাবে দিনের পর দিন অজানা রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে প্রায় পাঁচটি বছর অতিবাহিত হয়েছে। আজ পর্যন্ত এ রোগের নাম কেউই বলতে পারেননি। অনেক চিকিৎসক বলেছেন তাকে ঢাকায় নিয়ে উন্নত চিকিৎসাসেবা দিলে সে সুস্থ হয়ে উঠবে।
সর্বশেষ রোববার (১২ মে) দুপুরে তার পরিবার তাকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান। এখানেও চিকিৎসকের একই পরামর্শ বলে জানিয়েছেন নাজমা বেগম।
কিন্তু সীমা আক্তারের পিতা দিন মজুর হওয়ায় অর্থের অভাবে তাকে উন্নত চিকিৎসাসেবা দেয়ার জন্য ঢাকায় নেয়া সম্ভব হয়নি। প্রশাসন কিংবা সমাজের বিত্ত¡বানদের সহযোগিতা পেলে হয়তোবা কিশোরী সীমা আক্তার সুচিকিৎসায় দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন বলে তার পরিবারের প্রত্যাশা।
প্রতিবেদক : কবির হোসেন মিজি