বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৭ তম জয়ন্তিতে চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমীর আয়োজনে রবীন্দ্র জন্মোৎসব পালিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ মে) সন্ধ্যায় জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে আলোচনা সভা, নৃত্য, সংগীত, কবিতা আবৃত্তি ও নৃত্যনাট্য পরিবেশিত হয়েছে।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান।
তিনি বক্তব্যে বলেন, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কবিতা, নৃত্য ও সংগীতের মধ্যদিয়ে আমাদের মাঝে জাগ্রত হবেন। তিনি মানুষের দর্শন নিয়ে বাংলার মাটিকে সমৃদ্ধ করেছেন। তিনি আমাদেও মাঝে যা রেখে গেছেন, তার ঐতিহ্য আমাদেও ধরে রাখতে হবে। সংস্কৃতি অঙ্গনে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উজ্জল নক্ষত্র আমাদের আরো দুরে কাজ করার অনুপ্রেরণা জাগাবে।
তিনি আরো বলেন, রবীন্দ্রনাথ মৌলিক সংখ্যায় অবস্থান করেছিলেন। কারন রবীন্দ্রনাথের জন্ম ও মৃত্যু মৌলিক সংখ্যায়। রবীন্দ্রনাথের প্রত্যেকটি গান কবিতা সবই হলো বাণী। রবীন্দ্রনাথকে বুঝতে হলে রবীন্দ্র ভাষা বুঝতে হবে। বাঙ্গালী জাতির জন্য রবীন্দ্রনাথ গর্ব। বাংলা বৈশাখ মাসেই রবীন্দ্রনাথের জন্ম। রবীন্দ্রনাথই একমাত্র কবি যিনি ৩টি দেশের জাতীয় সংগিত রচনা করেছেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুহাম্মদ শওকত ওসমানের সভাপতিত্বে ও জেলা শিল্পকলা একাডেমীর কালচারাল অফিসার সৈয়দ মুহাম্মদ আয়াজ মাহমুদের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার, চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. এএসএম দেলওয়ার হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটওয়ারীসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতি সংগঠনেন নেতৃবৃন্দ ও প্রশাসনে কর্মকর্তরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিবেদক- শরীফুল ইসলাম