গাড়ি দুর্ঘটনায় মা-বাবার মৃত্যুর চার বছর পর তাঁদের সন্তানের জন্ম হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে চীনে। ওই সন্তানের জন্ম দিয়েছেন সারোগেট এক মা। অন্য মা-বাবার ভ্রূণ নিজের গর্ভে ধারণ করে সন্তান জন্ম দেন সারোগেট মা।
বিবিসির অনলাইনের খবরে জানানো হয়, ২০১৩ সালে গাড়ি দুর্ঘটনায় তিয়ানতিয়ান নামে ওই শিশুর মা-বাবা মারা যান। তাঁরা ভ্রূণ হিমায়িত করে রেখেছিলেন। আইভিএফ পদ্ধতিতে সন্তানের জন্ম দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। আইভিএফ পদ্ধতিতে শরীরের বাইরে বিশেষ পদ্ধতিতে শুক্রাণু ও ডিম্বাণু নিষিক্ত করা হয়।
নিহত ওই দম্পতির অভিভাবকেরা হিমায়িত ভ্রূণ ব্যবহারের অনুমতি পেতে আইনি লড়াই চালান।
দ্য বেইজিং নিউজ ফার্স্টের খবরে জানানো হয়, লাওসের এক সারোগেট মা ওই সন্তানের জন্ম দেন।
শিশুটির মা-বাবা যে সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়েন, তখন তাঁদের ভ্রূণ তরল নাইট্রোজেন ট্যাংকের মধ্যে মাইনাস ১৯৬ ডিগ্রি তাপমাত্রায় হিমায়িত করে রাখা ছিল। চীনের নানজিং হাসপাতালে এটি সংরক্ষণ করা ছিল। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পরে আদালত শিশুটির দাদা-দাদি ও নানা-নানিকে ভ্রূণ ব্যবহারের অনুমতি দেন।
চীনে সারোগেসি অবৈধ। তাই শিশুটির হবু দাদা-দাদি ও নানা-নানি সারোগেসি সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরপর তাঁরা লাওসের ওই সারোগেট মাকে বাছাই করেন। সেখানে বাণিজ্যিকভাবে সারোগেসি বৈধ।
তরল নাইট্রোজেনে ভ্রূণ বহনকারী থার্মোস বোতল নিতে কোনো এয়ারলাইনস রাজি হয়নি। এ কারণে বিশেষভাবে কার্গোতে সেটি নিয়ে গাড়িতে বহন করা হয়।
লাওসে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে মৃত মা-বাবার ভ্রূণ সারোগেট মায়ের গর্ভে দেওয়া হয়। ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে তিয়ানতিয়ানের জন্ম দেন সারোগেট মা।
তিয়ানতিয়ানের নাগরিকত্ব নিয়ে এরপর আরেক সমস্যা শুরু হয়। তিয়ানতিয়ানের জন্ম চীনে নয়। লাওসে। তার সারোগেট মা পর্যটন ভিসা নিয়ে সেখানে গিয়েছিলেন।
দাদা-দাদি ও নানা-নানিকে এরপর রক্ত দিতে হয়। ডিএনএ পরীক্ষাও দিতে হয়। এরপর প্রমাণ মেলে যে তিয়ানতিয়ানই তাঁদের নাতি। চীনের নাগরিকত্ব পায় তিয়ানতিয়ান।
-বিবিসি
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur