চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য শফিকুর রহমান শফুকে নারী কেলেঙ্কারির ঘটনায় বস্ত্রহীন অবস্থায় স্থানীয় জনতা হাতেনাতে আটক করেছে। শুক্রবার (৩০ মার্চ) রাত ১১ টায় ইউনিয়নের রামদাসদী এলাকার খলিল খাঁনের বসতঘরে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, পূর্ব রামদাসদীর মৃত কাশেম খাঁনের ছেলে খলিল ও মালেক খাঁনের সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘর্ঘদিন যাবত পরস্পরের মাঝে বিরোধ চলে আসছিলো। এ বিষয়ে ইউপি সদস্য শফিকুর রহমান শফু নিজে পরামর্শ দিয়ে মালেক খাঁনকে বাদি করে তার ভাই খলিল খাঁনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
গত কয়েকদিন পূর্বে মডেল থানার এসআই আহাদ ঘটনা তদন্তে খাঁন বাড়িতে যায় এবং বিবাদিদের ইউপি মেম্বারের সাথে যোগাযোগ করতে বলে। খলিল খাঁন ঢাকায় একটি মাদ্রাসায় চাকরি করার সুবাধে তার অনুপুস্থিতে তার স্ত্রী মামলার বিষয়ে শফু মেম্বারের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করতেন।
মামলা সমাধান করে দেবার কথা বলে খলিল খাঁনের স্ত্রীকে এক রাত্র কিছুক্ষন সময় দিতে বলে শফু মেম্বার। মামলার এজেহারের কাগজ দেয়ার অজুহাতে ঘটনার দিন সে খলিলের বাড়িতে যায়। এসময় তাকে ঐ বাড়ির দু’জন লোক দেখতে পেয়ে কোথায় যাচ্ছেন জিজ্ঞাসা করলে শফু মেম্বার বলে বাড়ির রাস্তাটি দেখতে এসেছি। পরে সুযোগ বুজে রাত ১১ টায় শফু মেম্বার খলিল খাঁনের বসতঘরে ডুকে তার স্ত্রীকে জোরপূর্বক শ্লীলতাহানীর চেষ্টা চালায়।
তার অনৈতিক কাজের প্রস্তুতিকালে খলিলের স্ত্রী বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়ে দরজা খুলে প্রতিবেশীদের নিকট বিষয়টি জানালে বাড়ির মহিলারা খলিলের ঘরে ডুকে শফু মেম্বারকে বস্ত্রহীন অবস্থায় আটক করে।
খবর পেয়ে এলাকার লোকজন শফু মেম্বারকে ঘর থেকে বাহিরে এনে নারীর ওড়না দিয়ে উলঙ্গ শরীর ঢেকে দেন। পুরো ঘটনা স্থানীয় কয়েকজন মহিলা পুরুষ মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে রাখে।
পরে ঘটনা সমাধানের কথা বলে স্থানীয় একটি চক্র অভিযুক্তকে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেয় বলে অভিযোগ করেন একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী।
এ ব্যাপারে শফু মেম্বারের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেস্টা করেও তাকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি এবং মোবাইল নম্বরটিও বন্ধ পাওয়া যায়।
প্রতিবেদক- কবির হোসেন মিজি