Home / বিশেষ সংবাদ / ‘কথিত বড়ভাই’ নেতাকে সালাম না দেয়ায় গোপনাঙ্গে লাথি
Kothito boro bai

‘কথিত বড়ভাই’ নেতাকে সালাম না দেয়ায় গোপনাঙ্গে লাথি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক হলের ‘কথিত বড়ভাই’ এবং ছাত্রলীগ নেতাকে সালাম না দেয়ায় একজনের গোপনাঙ্গে লাথি মেরে তাকে গুরুতর আহত করা হয়েছে। শনিবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) স্যার এ এফ রহমান হলের গেস্ট রুমে এ ঘটনা ঘটে।

তুক্তভোগী হাসান গাজী বিশ্ববিদ্যালয়ের উর্দু বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এবং হল শাখা ছাত্রলীগ উপ-সাহিত্যবিষয়ক সম্পাদক।

মারধরে নেতৃত্ব দানকারীরা হলেন হল শাখা ছাত্রলীগের বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্বধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের কাউসার মণ্ডল ও ছাত্রলীগের অর্থ সম্পাদক রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সেলিম রেজা। উভয়েই ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী। ভুক্তভোগী এবং অভিযুক্তরা হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান তুষারের অনুসারী।

হল সূত্র জানায়, কাউসার মণ্ডল ও সেলিম রেজাকে সালাম না দেয়ার অজুহাতে হলের ‘গেস্টরুমে’ অন্য নেতাকর্মীদের সামনে মারধর করে। মারধরের একপর্যায়ে হাসানকে হল থেকে বের হয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন তারা।

এদিকে, মারধরের পরে গুরুতর আহত অবস্থায় ভুক্তভোগী হাসান গাজীকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। রোববার এই প্রতিবেদন লিখা পর্যন্ত (সন্ধ্যা ৭টা) তিনি মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি ছিলেন। এই প্রতিবেদকের সাথে কথা হলে তিনি জানান, তার তলপেট ও পুরুষাঙ্গে প্রচণ্ড ব্যথা করছে। কথা বলতেও কষ্ট হচ্ছে বলে জানান তিনি।

জানা যায়, ঘটনার সময় শনিবার রাত থেকে তার প্রশ্রাব বন্ধ হয়ে যায়। ডাক্তার ওই শিক্ষার্থীকে ইউএসজি করাতে বলেছে। তবে এখন পর্যন্ত তার সম্পর্কে কিছু বলা যাচ্ছে না।

এ বিষয়ে এফ রহমান হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তুষার বলেন, তাকে আমি দেখতে না গেলেও তার চিকিৎসার সব ভার আমি নেব। যারা অন্যায় করেছে তাদের বিরুদ্ধে আমি ব্যবস্থা নেব।

হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান তুষার বলেন, ঘটনা ঘটেছে সত্যি। যারা এ সংগঠনপরিপন্থী কাজ করেছে, সংগঠনের শৃঙ্খলাবিরোধী কাজ করেছে তাদের বিরুদ্ধে আমি সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব।

হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এ কে এম সাইফুল ইসলাম খান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ওর চিকিৎসা হচ্ছে। আমরা হলের পক্ষ থেকে তদন্ত করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেব।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, বিষয়টি আমাকে অবহিত করা হয়নি। তবে যদি এমন কিছু ঘটে থাকে তবে আমরা হল প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে বলব।

উল্লেখ্য, বিগত আড়াই মাসে ঢাবিতে ছাত্রলীগের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে হলে সিট চেয়ে দেয়াল লিখনের ফলে চলতি মাসেই ছাত্রলীগের মারধরের শিকার হন ফজলুল হক মুসলিম হলের এক শিক্ষার্থী। এর আগে ছাত্রলীগের নির্যাতনের শিকার হয়ে চোখ হারাতে বসেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের শিক্ষার্থী এহসান রফিক।

গত শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলের দুই শিক্ষার্থীকে স্ট্যাম্প দিয়ে মারধর করে শাখা ছাত্রলীগ।

নিউজ ডেস্ক