জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৮তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে দলীয় কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
শনিবার (১৭ মার্চ) ভোর সাড়ে ৬টায় জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় সম্মুখে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান, সকাল ৯টায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ এবং রাতে দলীয় কার্যালয়ে কেক কাটা, আলোচনা ও দোয়া-মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
রাতে জেলা আওয়ামী লীগের অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব নাছির উদ্দিন আহমেদ।
সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নঈম পাটওয়ারী দুলালের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি আ. রশিদ সর্দার, শামসুল হক মন্টু পাটওয়ারী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. জহিরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সস্পাদক তাফাজ্জল হোসেন এসডু পাটওয়ারী, শাহীর হোসেন পাটওয়ারী, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. বিনয় ভূষণ মজুমদার, মুক্তিযুদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক হানিফ পাটওয়ারী, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সস্পাদক বিল্লাল মজুমদার, সদস্য বেলায়েত হোসেন বিল্লাল, রাধা গোবিন্দ গোপ, সন্তোস দাস. অ্যাড. বদিউজ্জামান কিরণ।
নাছির উদ্দিন আহমেদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। বিশ্বের বুকে আমরা কখনোই মাথা উঁচু করে দাড়াতে পারতাম না। বঙ্গবন্ধু একটি উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্ন নিয়ে আমাদের স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। সেদিন বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে এদেশের সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ যুদ্ধে যাপিয়ে পড়েছিলো। এর পর দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা একটি স্বাধীন সার্বোভৌম রাষ্ট্র পেয়েছি।
তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতার পরে একদল কুলাঙ্গার বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে দেশকে পূণরায় পাকিস্তানি রাষ্ট্র বানাতে চেয়েছিলো। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্যদিয়ে এদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দেয়া হয়েছিলো। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণ কারে করে যাচ্ছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বাংলাদেশ উন্নত রাষ্ট্রে পরিনত হবে।
এ সময় জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা শেষে কেক কেটে জাতির জনকের জন্ম দিবস পালন করা হয়।
প্রতিবেদক- আশিক বিন রহিম