সাবকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি বলেছেন, ‘আগামি ১ এপ্র্রিল প্রধানমন্ত্রী চাঁদপুরে আসছেন। আমি আশা করবো মানীয় প্রধানমন্ত্রী আসার আগেই চাঁদপুর সত্যিকার অর্থে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন একটি শহর হবে। সবাই যার যার অবস্থান থেকে শহর পরিচ্ছন্ন রাখতে সহযোগিতা করবো।
রোববার (১১মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেরন কক্ষে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমানের সভাপতিত্বে সাবেক এ পরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, চাঁদপুর শহরের সোন্দর্য্য রক্ষায় ট্রাক ঘাট এলাকায় ডাকাতিয়া নদীর পাড়ে অবৈধ ইট বালুর ব্যবসা বন্ধ করতে হবে। এছাড়াও ট্রাক ঘাট এলাকায় ময়লা আর্বজনার স্তুপ রাখা হয়েছে। সেখানে একদিকে আমার সামনে ডাকাতিয়া নদীর মনোরম পরিবেশ আর অন্যদিকে আমার পেছনে ময়লার ডাস্টবিন। অথচ এই স্থানটি হতে পারে চাঁদপুরের অন্যতম একটি দর্শনীয় স্থান। তাই কর্তৃপক্ষের জরুরীভাবে এই স্থানটিকে রক্ষা করে এর সোন্দর্য ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ১৯৯৬ সনে চাঁদপুর থেকে কোনো আসন না পেয়েও বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা চাঁদপুরকে অনেক কিছু দিয়েছেন। গত ৯বছরে তার কাছে যখন যা চেয়েছি তাই দিয়েছেন। চাঁদপুরে যে ব্যপক উন্নয়ন হয়েছে তার সবই সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর জন্য। আর চাঁদপুরে যা কিছু সমস্য রয়েছে তা আমাদের নিজেদের জন্য। কিন্তু উন্নয়ন যা হয়েছে তা জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্য। আমরা নিজেরাই নিজেদের জন্য সরকারি জয়গা দখল করছি, পুকুর ভরাট করছি।
তিনি আরো বলেন, বিশ্বের ১৭৩টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের মধ্যে সততায় যারা শীর্ষে আছেন তাদের মধ্যে আমাদের প্রধানমন্ত্রী রয়েছেন। বর্তমান বিশ্বে পরিশ্রমী, মানবতায় এবং মেধায় সর্বশ্রেষ্ট আমাদের প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনার শাসনামলে সাড়ে ১৪ হাজার বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে। যা পৃথিবীর আর কোনো দেশে করতে পারেনাই। তার আগমন চাঁদপুর বাসীর জন্য অনেক গুরুত্ব বহন করে। প্রধামন্ত্রীর আগমনে কোন এলাকার মানুষ কোন পথে প্রবেশ করবে, তাদের বাসগুলো কোথায় রাখবে এবং তারা কোথায় বসবে-এই সবকিছু আগে থেকেই নির্ধারণ করতে হবে। শহরের যানজট মুক্ত ও পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। জনসভার স্থলে মহিলাদের বসার ব্যবস্থাসহ পানি ও টয়লেটের ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া নিরিবিচ্ছন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।
সভার শুরুতেই বিগত সভার কার্যবিবরণ পাঠ, সিদ্ধান্ত ও এর অগ্রগতি তুলে ধরেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রে আয়শা আক্তার।
পরে উন্মুক্ত আলোচনা পর্বে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার পিপিএম, নৌ-পুলিশ সুপার সুব্রত হালদার, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, স্বাধীনতা পুরস্কার প্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা ডা. সৈয়দা বদরুন্নাহার চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. সফিকুল ইসলাম, চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্বাবধায়ক ডা. মো. সুজাউদ দৌলা রুবেল, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-দপ্তর সম্পাদক এ্যাড. রঞ্জিত রায়, চাঁদপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটওয়ারী, প্রচার সম্পাদক আহসানুল্লাহ প্রমুখ।
প্রতিবেদক- আশিক বিন রহিম