‘অন্ধকার হতে আলোর পথে যাত্রা’ এই শ্লোগানকে ধারন করে সারাদেশের মধ্যে চাঁদপুরে এই প্রথম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে থিয়েটার ফোরাম চাঁদপুরের ব্যবস্থাপনায় ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পৃষ্ঠপোষকতায় ৭ দিনব্যাপি নাট্যোৎসব শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্য় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মঞ্চে উদ্বোধনী পর্বে উদ্বোধন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও নাট্য ব্যাক্তিত্ব নাসির উদ্দিন ইউসুফ।
তিনি বক্তব্যে বলেন, ১৯৭২ সালে ১০ জানুয়ারী বঙ্গবন্ধু ফিরে আসলেন। এই সময় বাংলার মানুষের কাছে যুদ্ধ জয়ের আনন্দ আর যুদ্ধ বিধস্থ দেশের একটি স্বাধীনতার কামী মানুষের হাহাকার। ওই সময় প্রথম সরকারের রাষ্ট্রপতি যুদ্ধ জয়ের নায়ক-মহান নেতা, যার জন্য মানুষ আনন্দ ও অশ্রæসিক্ত কেউবা নামাজ পড়েছেন এবং রোজা রেখেছেন। যিনি না আসলে বাংলাদেশের সংবিধান হতো না। বঙ্গবন্ধু এসে মানুষের অধিকার আদায়ের আইনসহ বহু সমস্যার সমাধান করেছেন।
তিনি আরো বলেন, যুদ্ধের সময় প্রতিবেশী দেশ ভারত মিত্র বাহীনি ৩ মাসের মধ্যেই চলে গেছেন। দেশের অন্যান্য দেশও যুদ্ধে স্বাধীন হওয়ার পরেও সৈনিকরা অবস্থান করেছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু সেই ফিরে না আসলে দেশের হাহাকার অবস্থায় পরিনত হতো। তিনি এসেই এক সপ্তাহের মধ্যে স্কুল চালু করেছেন। ৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারকে হত্যা না করলে দেশ আরো উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যেতো।
থিয়েটার ফোরাম নাট্যেৎসব উদযাপন পরিষদের আহŸায়ক তাফাজ্জল হোসেন এসডু পাটওয়ারীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ ওচমান গনি পাটওয়ারী।
তিনি বক্তব্যে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসকে ঘিরে চাঁদপুর থিয়েটার ফোরাম যে নাট্যেৎবের আয়োজন করেছে, তা খবুই মহতি উদ্যেগ। জাতির পিতা দেশকে স্বাধীন করার জন্য যে আত্মত্যাগ করেছেন, তা কোন নেতাই করেননি। বঙ্গবন্ধুর দেশকে নিয়ে যে স্বপ্ন ছিলো তা আমাদের সকলের জানা আছে। তিনি দেশকে স্বাধীন করার জন্য নিজের সব কিছু বিসর্জন দিয়েছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর মাধ্যমেই বাঙালী জাতি মুক্তি লাভ করে।
শিল্পকলা একাডেমীর নির্বাহী সদস্য ও বর্ণচোরা নাট্যগোষ্ঠির সাধারণ সম্পাদক শরীফ চৌধুরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর থিয়েটার ফোরামের সভাপতি শহীদ পাটওয়ারী, নাট্য ব্যাক্তিত্ব জিয়াউল আহসান টিটো। উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটওয়ারী, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক অ্যাড. জহিরুল ইসলাম, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি বি এম হান্নান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জি এম শাহীন।
উদ্বোধনী দিন জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে নাটক মঞ্চায়ন করে বর্ণচোরা নাট্যগোষ্ঠি আয়োজিত নাটক মলিয়ের এর কমেডি গিট্ঠু। রূপারন্ত তারিক আনাম খান ও নির্দেশনায় রয়েছেন শুকদেব রায়। নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেন দেব্রবত সরকার বিজয়, হ্যাপি আক্তার,শান্ত সূত্রধর, কামরুজ্জামান, শাহাদাত হোসেন বাপ্পি, শাহের সাব্বির, চাইমন, সিয়াম, শানজানা চৌধুরী, জাফরুন নাহার পৃথা, নুরে আলম নয়ন, প্রনব ঘোষ ও শরীফ চৌধুরী।
আজ শুক্রবার সান্ধ্যকালীন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেবে উদয়ন সঙ্গীত বিদ্যালয় ও অনন্যা নাট্যগোষ্ঠীর পরিবেশনায় নাটক ‘ঘরজামাই’।
প্রতিবেদক- শরীফুল ইসলাম
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ০১:০৩ পিএম, ৪ জানুয়ারি ২০১৮, বৃহস্পতিবার
ডিএইচ