চাঁদপুরে চলতি বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হলো বিদেশগামীদের জন্যে আঙুলের ছাপ বা ফিঙ্গার প্রিন্ট কার্যক্রম। চাঁদপুর থেকে বিদেশে যাওয়ার প্রত্যাশীরা এখন চাঁদপুরেই ফিঙ্গার প্রিন্ট ও অন্যান্য ডাটা এন্ট্রি কার্যক্রমে অংশ নিতে পারছেন।
চাঁদপুর জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস চাঁদপুর স্টেডিয়ামের পশ্চিম পাশে টিএন্ডটি অফিসের দক্ষিণ দিকে সাবেক বিএবিএস ভবনের দ্বিতীয় তলায় এর কার্যক্রম অভিরাম গতিতে চলছে।
শুরু থেকে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত ৩ হাজার ২ শ ৭৪ জনের আঙুলের ছাপ বা ফিঙ্গার প্রিন্ট নেয়া হয়েছে।
ফিঙ্গার প্রিন্ট ও ডাটা এন্ট্রিকারী আসিকুর রহমান চাঁদপুর টাইমসকে বলেন ,‘ দৈনিক গড়ে ১৫০ থেকে ১৭০ জনের ফিঙ্গার প্রিন্ট ও ডাটা এন্টিকরা হচ্ছে । ফিঙ্গার প্রিন্ট ও ডাটা এন্ট্রি দ্রুততার সাথে আমরা নিরলসভাবে করছি। কোনো বিদেশগামী কর্মী পাসপোর্ট ও ভিসার ফটোকপি সঙ্গে এনে প্রবাসী কল্যাণ বা সোনালী ব্যাংকের ২শ’ টাকার ট্রেজারী চালান কপি হাতে করে আনলেই পর্যায়ক্রমে ফিঙ্গার ইমপ্রেশান গ্রহণ ও প্রয়োজনীয় ডাটা এন্ট্রি করা হয় ।’
জরিপ কর্মকর্তা মো.মহসিন পাটোয়ারী চাঁদপুর টাইমসকে জানান, চাঁদপুরে এ প্রথম বিভিন্ন দেশে গমনেচ্ছুকদের প্রয়োজনীয় ডাটাসহ ফিঙ্গার প্রিন্ট নেয়ার কার্যক্রম সরকারিভাবে চালু হলো। ইতোপূর্বে এ কার্যক্রমটি ছিলো রাজধানী ঢাকায়,পরবর্তীতে চাঁদপুর ও কুমিল্লা জেলার বাসিন্দাদের জন্যে কুমিল্লায় এর কার্যক্রম চলছিলো। এ ধারাবাহিকতায় চাঁদপুর জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে এ ব্যবস্থা চাঁদপুরেই চালু করে।
সেবাগ্রহণকারী মো.সজীব জানায়,‘দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে ফিঙ্গার প্রিন্ট দিতে হচ্ছে। অপর এক প্রশ্নে তিনি বলেন,এজন্যে কোনো উৎকোচ বা অতিরিক্ত টাকা তারা নিচ্ছেন না।
চাঁদপুর কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নুরুল আফসার চাঁদপুর টাইমসকে বলেন,‘বর্তমান সরকারের সকল সেক্টরের সেবা ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে এটিও একটি কার্যক্রম। এখন আর সময় ও অর্থ ব্যয় এবং অযথা হয়রানী বন্ধে ফিঙ্গার প্রিন্ট কার্যক্রম চাঁদপুরেই শুরু হয়েছে ২৬ সেপ্টেম্বর। এখন থেকে ঢাকায় ও কুমিল্লায় যেয়ে অযথা অর্থ ব্যয় ও সময় নষ্ট করতে হবে না। বিভিন্ন দেশে গমনেচ্ছুকদের পাসপোর্ট ও ভিসার ফটোকপির সঙ্গে ট্রেজারী চালান জমা দিলে ফিঙ্গার প্রিন্ট দিতে পারবে।’
চাঁদপুর জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস এ কাজটি স্বচ্ছতার মধ্যেই করছে। এখানে উৎকোচ লেনদেনের কোনো সুযোগ নেই বলে ওই কর্মকর্তা দৃঢ়তার সাথেই চাঁদপুর টাইমসকে তথ্য প্রদান করেন।
তিনি সৌদি আরবে গমনেচ্ছুকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন,‘ ফ্রি ভিসা বলে কোনো ভিসা নেই। প্রকৃতপক্ষে ফ্রি ভিসা একটি বিভ্রান্তমূলক প্রচারণা। তথাকথিত ফ্রি ভিসায় সৌদি আরবে গিয়ে নিজে নিজে কাজ যোগাড় করা অসম্ভব। চাকুরির নিশ্চয়তা ব্যতীত ফ্রি ভিসার নামে কোনো ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠান অথবা কোনো রিক্্রুটিং এজেন্সি কোনো কর্মীকে প্রেরণ করলে তার বিরুদ্ধে ‘ বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী আইন ২০১৩ এর ৩১ ধারা ’মতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ব্যাপারে তিনি জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর একটি বিজ্ঞপ্তিও দেখান।
প্রতিবেদক :আবদুল গনি
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৫:১০ পিএম,১৩ নভেম্বর ২০১৭, সোমবার
এজি