মার্কিন কম্পিউটার বিজ্ঞানী এলেক্স হাল্ডারম্যান দেখিয়েছেন যে ট্রেস করার কোন উপায় না রেখেই কত সহজে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন হ্যাক করে ভোটের ফলাফল কিভাবে পরিবর্তন করা সম্ভব।
গত মাসে বোস্টনের এক প্রযুক্তি সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।
তিনি একটি ছদ্ম নির্বাচনের আয়োজন করেন যেখানে সম্মেলনে অংশ গ্রহণকারী তিন জন জর্জ ওয়াশিংটনের পক্ষে ভোট দেন। কিন্তু হ্যাকিংয়ের শিকার মেমোরি কার্ডে ফলাফল আসে জর্জ ওয়াশিংটন পেয়েছেন ১ ভোট আর বেনেডিক্ট আরনর্ল্ড পেয়েছেন ২ ভোট। সামরিক কর্মকর্তা বেনেডিক্ট রেভোল্যুশনারি ওয়ারের সময় গোপন তথ্য বিক্রি করেন।
হাল্ডারম্যান যে ভোটিং মেশিনকে সহজেই হ্যাকিং করা যায় বলে দেখালেন, তা যুক্তরাষ্ট্রের ২০টি অঙ্গরাজ্যে ব্যবহৃত হয়। এই মেশিনের কোন ব্যালট পেপার নেই। আর তাই ভোটের ফলাফল পাল্টে দিলে তা ধরার বা চ্যালেঞ্জ করার কোন উপায় থাকে না।
যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের মধ্যবর্তী নির্বাচনের মাত্র এক মাস আগে নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা জানান, ভোটিং মেশিন ও অন্যান্য লক্ষ্যবস্তুগুলো হ্যাকিং হওয়ার বড় ধরনের ঝুঁকিতে রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের দুই বছর পর মধ্যবর্তী নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের মতে, রুশ এজেন্টরা যুক্তরাষ্ট্রের গত নির্বাচনে অন্তত ২০টি রাজ্যে ভোটার রেজিস্ট্রেশন নেটওয়ার্কে হ্যাকিংয়ের চেষ্ট করেছে এবং অন্তত একটিতে তারা সফল হয়েছে।
এলেক্স বলেন, রুশদের ভোটিং রেকর্ড নষ্ট বা পরিবর্তন করার সক্ষমতা রয়েছে, যা নির্বাচনের দিন বিশঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে।
তিনি আরো বলেন, এমনকি সিনেট ইন্টিলিজেন্স কমিটির তদন্তেও ‘তারা রুশদের ওই সক্ষমতার বিষয়টি তুলে ধরেননি।’
সম্মেলনে অন্যান্য গবেষকরা দেখিয়েছেন, ভোটিং মেশিং অথবা নেটওয়ার্কে হ্যাকিং সম্ভব। এখনো যুক্তরাষ্ট্রের ২০ থেকে ২৫ শতাংশ ভোটার ভোটিং মেশিনের সাহায্যেই তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
সম্মেলনে গবেষকরা যেসব নির্বাচনী ব্যবস্থায় পেপার ব্যাকআপ নেই, সেগুলো পরিবর্তন করে নতুন পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ করতে বলেছেন। (নয়াদিগন্ত)
বার্তা কক্ষ