মোবাইল নম্বর অপরিবর্তিত রেখে অপারেটর বদল অর্থাৎ মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি (এমএনপি) সেবা পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হয়েছে মধ্যরাত থেকে (১ অক্টোবর)।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি), এমএনপি সেবার দায়িত্ব পাওয়া প্রতিষ্ঠান ইনফোজিলিয়ন টেলিটেক-বিডি ও মোবাইল অপারেটররা জানিয়েছে, তারা এ সেবা দিতে প্রস্তুতি শেষ করেছে।
ইনফোজিলিয়নের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাবরুর হোসেন বলেন, ‘সেবাটি চালু করতে শনিবার রাত থেকেই পরীক্ষা চালানো হচ্ছে। ছোটখাটো সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। গ্রাহকেরা সোমবার (১ অক্টোবর) থেকে অপারেটর বদল করতে পারবেন।’
গত আগস্টে এমএনপি সেবা চালু হওয়ার কথা থাকলেও কারিগরিসহ নানা কারণে তা পেছানো হয়। সর্বশেষ এ সেবা চালু করতে সম্প্রতি মোবাইলের কলরেটও পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে।
এমএনপি সেবা চালু হলে গ্রাহক তার মোবাইল নম্বর অপরিবর্তিত রেখে যেকোনো অপারেটরে যেতে পারবেন। প্রিপেইড ও পোস্ট পেইড উভয় ধরনের গ্রাহকই এ সুবিধা পাবেন।
এদিকে এমএনপি সেবা চালুর খরচের পরিমাণ আগের চেয়ে ২০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। নম্বর ঠিক রেখে যেসব গ্রাহক অপারেটর বদল করবেন তাদের নম্বরপ্রতি ৫০ টাকা করে দিতে হবে। যা আগে ছিল ৩০ টাকা। এরপর ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট আছে। ফলে গ্রাহকের ফি দাঁড়াচ্ছে ৫৭ টাকা ৫০ পয়সা।
প্রতিবার অপারেটর বদলাতে গ্রাহককে নতুন সিম নিতে হবে। সিম পরিবর্তন বা রিপ্লেসমেন্টের ওপরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ১০০ টাকা কর আছে। ফলে সব মিলিয়ে গ্রাহকের ফি দাঁড়াচ্ছে ১৫৮ টাকা। এর বাইরে অপারেটরের ফি আছে ১০০ টাকা, যা এমএনপি সেবাদাতাকে দিতে হবে।
৭২ ঘণ্টার মধ্যে সেবা চালু হলে পরবর্তী ৯০ দিন ওই গ্রাহক অপারেটর পরিবর্তন করতে পারবেন না। এমএনপি সেবা নিতে হলে গ্রাহককে সংশ্লিষ্ট মোবাইল ফোনের কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে যেতে হবে। এমএনপি সেবায় গ্রাহকদের সহযোগিতা দিতে টিকিটিং পদ্ধতির হেল্পডেস্ক চালু করেছে বিটিআরসি। এছাড়া ওয়েবসাইটের (www.infotelebd.com) মাধ্যমেও প্রয়োজনীয় তথ্য পাওয়া যাবে।
বার্তা কক্ষ
অক্টোবর ১,২০১৮