Home / লাইফস্টাইল / টেনশনে রাতে ঘুম হচ্ছে না, করণীয় কি?
sleep

টেনশনে রাতে ঘুম হচ্ছে না, করণীয় কি?

আমরা যখন কোন কিছু নিয়ে চিন্তিত থাকি বা টেনশন করি, তখন অনেকেরই ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে থাকে। ব্যক্তিগত কোন কারণে হোক বা দেশের চলমান পরিস্থিতি বা অন্য কিছু নিয়ে হোক, উদ্বিগ্ন থাকার কারণে প্রায়ই দেখা দেয় নিদ্রাহীনতা। প্রথমত, আপনি নির্ঘুম থেকে কোন সমস্যারই সমধান করতে পারবেন না। দ্বিতীয়ত, দীর্ঘদিন ঘুমের সমস্যা হলে আপনি নিজেই অসুস্থ হয়ে পড়বেন আর তাতে সমস্যা বাড়বে বৈ কমবে না।

এবার চলুন জেনে নিই কীভাবে উদ্বিগ্নতা কম করে প্রয়োজনীয় ঘুম নামিয়ে আনবেন চোখে। থাকছে ৭টি টিপস।

১। প্রথমে ভেবে দেখুন কোন বিষয় নিয়ে আপনি দুশ্চিন্তা করছেন। সেটা কি একটি বিষয় না অনেকগুলো বিষয়? কোন বিপদের আশঙ্কা করছেন নাকি ক্ষয়ক্ষতির? আপনার দুশ্চিন্তা করায় পরিস্থিতির কোন উন্নয়ন কি হবে?- ইত্যাদি বিষয়গুলো ভাবতে থাকুন। তবে অবশ্যই চোখ বন্ধ করে ভাবুন। কিছুক্ষণের মাঝে মস্তিষ্ক ক্লান্ত হয়ে ঘুম নেমে আসবে চোখে।

২। যদি এতে কাজ না হয়, তবে জোর করে বিছানায় শুয়ে থেকে লাভ নেই। বিছানায় শুয়ে শুয়ে সেলফোনে ব্রাউজ করেও কোন লাভ নেই। সোশ্যাল মিডিয়া আপনার চিন্তা কম করবে না, উল্টো বাড়াবে। তাই এসব বাদ দিয়ে উঠে পড়ুন। লাইট জ্বালিয়ে বসুন। কিছুক্ষণ পর আবারো ঘুমাবার চেষ্টা করা যাবে।

৩। উঠেই যখন পড়েছেন তাহলে মধু মিশিয়ে এক গ্লাস উষ্ণ দুধ পান করতে পারেন বা একটি কলা খেতে পারেন। ভুলেও চা-কফি পান করবেন না, মশলাদার কিছু খাবেন না, সিগারেটও পরিহার করুন। এতে ঘুমের সমস্যা বাড়বে।

৪। দুধ কিংবা কলা নিয়ে যখন বসেই ফেলেছেন, তখন একটি কাগজ-কলম টেনে নিন। আপনার দুশ্চিন্তার কারণগুলো লিখে ফেলুন। সেই সাথে সম্ভাব্য সমাধান, আপনার করণীয় ইত্যাদির একটা লম্বা লিস্টও বানিয়ে ফেলুন। সমস্যা সমাধানের একটু আভাস দেখতে পেলে আপনার মন একটু স্বস্তি পাবে। ফলে চিন্তা কমবে ও ঘুম নামবে চোখে।

৫। একটু পড়াশোনা করুন। এর মানে অনলাইনে বসে কিছু পড়া নয়। বরং ছাপার অক্ষরের কিছু পড়ার চেষ্টা করুন। অফিসের কাজ বা লেখাপড়া থাকলে সেটা নিয়েও বসতে পারেন। কিছুক্ষণের মাঝেই ঘুম পেতে শুরু করবে।

৬। এই সবের কিছুতেই কাজ কাজ না হলে মেডিটেশন বা ধ্যান করুন। ধ্যান আপনার মনকে শান্ত করতে সাহায্য করবে। মন শান্ত হয়ে গেলে ঘুমও নেমে আসবে চোখে।

৭। এছাড়াও আরও কিছু ব্যাপারে লক্ষ্য রাখা জরুরী। খেয়াল রাখুন যেন ফোনের নোটিফিকেশন সাউন্ড বন্ধ থাকে। রাত জেগে টেলিভিশন দেখাও পরিহার করুন। যেখানে ঘুমাবেন, বিছানা যেন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকে। যাদের বাড়িতে এসি আছে তারা তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রনে রাখুন। বেশি গরম বা বেশি ঠাণ্ডা ঘুমে ব্যাঘাত ঘটায়।

চারপাশে পরিস্থিতি যাই হোক না কেন সবচাতে জরুরি নিজের স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখা। আপনি সুস্থ আছেন মানে সমস্যা সমাধানে আত্মনিয়োগও করতে পারবেন।

লাইফস্টাইল ডেস্ক