Home / জাতীয় / রাজনীতি / ৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী মঙ্গলবার : বিপর্যয়ের মুখে বিএনপি
৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী মঙ্গলবার : বিপর্যয়ের মুখে বিএনপি

৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী মঙ্গলবার : বিপর্যয়ের মুখে বিএনপি

চাঁদপুর টাইমস নিউজ ডেস্ক | আপডেট: ০৭:৪২ অপরাহ্ণ, ৩১ আগস্ট ২০১৫, সোমবার

টানা দুইবার আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে অনেকটাই ব্যাকফুটে বিএনপি। চলমান পরিস্থিতিতে কোনোভাবেই ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না, ফলে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে দলটি। প্রতিষ্ঠার পর বিভিন্ন সময় বিপর্যয়ের মুখে পড়লেও বার বার ঘুরে দাঁড়িয়েছে দলটি। কিন্তু এবারই প্রথম সবচেয়ে বড় বিপর্যয়ে দেশের অন্যতম বৃহৎ এ রাজনৈতিক দলটি। বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা গেছে।

তবে বিএনপির এই অবস্থার জন্য দলের কেউ কেউ সরকারের নির্যাতন-নিপীড়নকে দায়ী করছেন। আবার অনেকেরই দাবি, জিয়াউর রহমানের আদর্শ থেকে দূরে সরে যাওয়ার ফলে দলের এই বিপর্যয়। কেউ আবার বলছেন, জিয়ার আদর্শকে ধারণ করেই বিএনপি ঘুরে দাঁড়াবে, এটা সময়ের ব্যাপার মাত্র।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর প্রাক্কালে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘৩৭ বছরের দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে আজকে বিএনপি চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। বিএনপির সংকটকে আমি অস্বীকার করব না। তা ছাড়া দলটি একেবারেই যে ভুল করেনি, এটাও বলা যাবে না। তবে আমরা ঘুরে দাঁড়াব। এ দলটির অনেক অর্জন আছে। দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষা, মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দেওয়াসহ অর্থনৈতিক মুক্তিতে দীর্ঘ সংগ্রাম রয়েছে দলটির। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের জন্যই বিএনপি আবির্ভাব হয়। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এ দলটি প্রতিষ্ঠা করেন।’

মাহবুবুর রহমান আরও বলেন, ‘দেশের সংকটময় মুহূর্ত পার করে, বহু দুর্যোগ কাটিয়ে ঘাত-প্রতিঘাতেও মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন জিয়াউর রহমান। আমরা সেই জিয়াউর রহমানের আদর্শকে ধারণ করেই এগিয়ে যাচ্ছি। যদিও এখন আমরা সরকারে নেই, বিরোধী দলেও নেই। ৫ জানুয়ারি ভোটারবিহীন নির্বাচন করে বর্তমান সরকার ক্ষমতা দখল করে আছে।’

“জিয়াউর রহমান শিখিয়ে গেছেন ‘ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে দেশ বড়’। দেশের চেয়ে ব্যক্তি স্বার্থ বড় করে দেখার সুযোগ নেই।” যোগ করেন জেনারেল মাহবুবুর।

এদিকে দলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার বলেন, ‘বিএনপি এখনো আছে। ইনশাল্লাহ আমরা থাকব। আমরা ইলেকশন করিনি বলে শেষ হয়ে যাইনি। গণতন্ত্র সাময়িকভাবে চলে যেতে পারে। অতীতে আমরাই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলাম। বিএনপি যতদিন আছে, দেশে গণতন্ত্র আসবে। আমরাই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করব।’

দলের নেতারা আশাবাদী কথা শুনালেও সক্রিয় আন্দোলনে রাজপথে নামতে পারছেন না তারা। ২০১৩ সালে ২৯ ডিসেম্বর ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ কর্মসূচিতে খালেদা জিয়া নেতাকর্মীদের ঢাকায় আসার জন্য আনুষ্ঠানিক আহ্বান জানান। সারাদেশ থেকে তৃণমূলের হাজার হাজার নেতাকর্মী ঢাকায় জড়ো হন। কিন্তু অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি ঢাকার শীর্ষ নেতাদের। তারা ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন বন্ধ করে আত্মগোপনে চলে যান।

পরবর্তী সময়ে ৫ জানুয়ারি নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েও নেতাদের রাজপথে নামাতে পারেনি খালেদা জিয়া। দেশের অন্যতম বড় দল বিএনপি ছাড়া নির্বাচন করে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বিএনপি নেতাকর্মীরা আবারও প্রকাশ্যে আসেন। আবার সক্রিয় হয়ে উঠেন ঘরোয়া কর্মসূচিতে। ক্ষমতাসীন সরকারের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে ‘৫ জানুয়ারিকে কালো দিবস’ হিসেবে পালনের ঘোষণা দেন খালেদা জিয়া। কিন্তু ৩ জানুয়ারি রাতেই গুলশানে নিজ কার্যালয়ে অবরুদ্ধ হন তিনি। এরপর ওই দিনই (৫ জানুয়ারি) খালেদা জিয়া টানা অবরোধের ঘোষণা দেন। পরবর্তীকালে গুলশানে খালেদা জিয়ার সঙ্গে যোগ দেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। খালেদা জিয়া টানা ৯২ দিন ‘অবরুদ্ধ’ থাকলেও দলের শীর্ষ নেতারা নীরবই থেকেছেন।

এদিকে অজ্ঞাত স্থান থেকে দলের যুগ্ম-মহাসচিব এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বিবৃতি দিয়ে কর্মসূচি ঘোষণা করেন। বেশ কয়েক দিন এভাবেই চলে। এরপর রিজভী আটক হলে দায়িত্ব দেওয়া হয় অপর যুগ্ম-মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদকে। তিনিও অজ্ঞাত স্থান থেকে বিবৃতি দিয়ে দফায় দফায় হরতাল ঘোষণা করেন। পরবর্তী সময়ে রাজধানীর উত্তরা থেকে সালাহ উদ্দিন নিখোঁজ হন। প্রায় দুই মাস পর ভারতের শিলংয়ে রহস্যজনকভাবে তার সন্ধান মেলে। এর মধ্যে দায়িত্ব দেওয়া হয় আরেক যুগ্ম-মহাসচিব বরকত উল্লাহ বুলুকে। তিনিও অজ্ঞাত স্থান থেকে বিবৃতি পাঠিয়ে কর্মসূচি চালিয়ে যান। খালেদা জিয়া কার্যালয়ে থাকা পর্যন্ত তিনি অজ্ঞাত স্থান থেকে দলের দায়িত্ব পালন করে যান।

অবশ্য কার্যালয় থেকে খালেদা জিয়া আদালতে হাজিরা দিয়ে ঘরে ফেরার পর তিনি আর কোনো বিবৃতি পাঠাননি। এখনো প্রকাশ্যে আসেননি বুলু। খালেদা জিয়া ঘরে ফিরলে সক্রিয় আন্দোলন মূলত ওই দিনই শেষ হয়। বর্তমানে বিএনপির কোনো সক্রিয় কর্মসূচি নেই। নয়াপল্টনে সংবাদ সম্মেলন আর স্বল্প পরিসরে আলোচনাসভায় ঘরোয়া পরিবেশে বক্তব্য-বিবৃবিতে সীমাবদ্ধ দেশের অন্যতম দলটির রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড।

তবে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব মোহাম্মদ শাহজাহান দাবি করেন আগের তুলনায় এখন অত্যাচারের মাত্রাটা ভিন্ন । তিনি বলেন, ‘এখন মিছিলে গুলি করা হয়, আগের কিন্তু এভাবে মিছিলে গুলি করা হয়নি। বর্তমানে বর্বরতার মাত্রাটা এতই বেশী যে আমরা রাস্তায় নামতে পারছি না। তার মানে এই নয় আমরা সংগঠিত নই। আমরা গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাস করি। যে কারণে বিএনপি বার বার ক্ষমতায় ফিরে আসে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বেই আমরা তিনবার সরকার গঠন করেছি।’
দল পুনর্গঠন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কাজ চলছে, আমাদের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। সবাইকে জিয়াউর রহমানের আদর্শ ধারণ করে এগিয়ে যেতে হবে।’

জিয়ার আদর্শ থেকে বিএনপি সরে গেছে, দলের ভিতরে বাইরে এমন গুঞ্জন রয়েছে— এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোহাম্মদ শাহাজাহান বলেন, ‘কিছু ক্রটি-বিচ্যুতি আছে। একবারেই নেই, তা বলব না। তবে বিভিন্ন চড়াই-উতরাই পার হয়ে আজকে এই অবস্থানে এসেছে বিএনপি। বিএনপি ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না, এটা ঠিক নয়। আমাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম অব্যাহত আছে।’

‘জিয়াউর রহমানকে হত্যার মধ্য দিয়ে বিএনপিকে শেষ করে দিতে চেয়েছিল, কিন্ত পারেনি’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এরশাদবিরোধী আন্দোলন করে বিএনপি সফল হয়েছে। এক-এগারোর পর থেকে বিএনপির ওপর যে অত্যাচার মেনে এসেছে তা এখন পর্যন্ত অব্যাহত আছে। গ্রামেগঞ্জে যেভাবে বিএনপির সাধারণ নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন নেমে এসেছে তাতে মানুষের মনে ক্ষোভ তৈরী হয়েছে। মানুষ সময় মতো রুখে দাঁড়াবে।’

ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক বর্তমানে বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক কাজী আসাদ বলেন, ‘জিয়াউর রহমান একটি কথা বলেছিলেন, জাতীয় দুর্যোগ জনগণকে সংগঠিত করবে। আর দলীয় দুর্যোগ দলের নেতাকর্মীদের সুসংগঠিত করবে। কিন্তু দুঃখের সঙ্গে বলছি, আমরা এখন সুসংগঠিত হতে পারছি না। এর মূল কারণ হলে রাজনৈতিক হামলা-মামলা।’

‘বিএনপি এত বড় একটি দল, কিছু ভুলক্রটি থাকতেই পারে। আশা করি সাংগঠনিক দুর্বলতা কেটে যাবে।’ যোগ করেন কাজী আসাদ।

দলের অঙ্গ সংগঠনগুলোও এলোমেলো। গত ৫ জানুয়ারি থেকে টাকা তিন মাস আন্দোলনে ‘ব্যর্থ’ হয়ে দলীয়প্রধান অঙ্গ দলগুলোর কমিটি ভেঙ্গে নতুন কমিটি করার ঘোষণা দেন। কিন্তু সংগঠনগুলোর কমিটি পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই। একই সঙ্গে ঘোষণার নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ঢাকা মহানগর বিএনপি পুনর্গঠন করতে ব্যর্থ হয়েছে দলটি।

এদিকে গত ৯ আগস্ট সারাদেশের ৭৫টি সাংগঠনিক জেলা কমিটি পুনর্গঠনে দলের প্রতিটি পৌর, থানা, উপজেলা, জেলা ও মহানগর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর চিঠি পাঠানো হয়। দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পক্ষে যুগ্ম-মহাসচিব মো. শাহজাহান স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সকল কমিটি গঠন ও পুনর্গঠন করে কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। অবশ্য এরমধ্যেই বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সরকার বিএনপির পুনর্গঠনকে বাধাগ্রস্ত করছে। সে কারণে ঘোষিত সময়ের মধ্যে পুনর্গঠন করা সম্ভব হচ্ছে না।

এ ছাড়া দলটি ২০০৯ সালের পর কাউন্সিল করতে পারেনি। ২০১১ সালের ১৬ মার্চ বিএনপির মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের মৃত্যুর পর ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর (বিদেশে চিকিৎসাধীন)।

নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জিয়াউর রহমানের ১৯ দফা ও তার আদর্শ থেকে সরে আসার কারণে আজকে দলের এই অবস্থা। বিএনপি জবাবদিহিতামূলক একটি দল ছিল। ‘ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে দেশ বড় ছিল’। কিন্তু জিয়াউর রহমানের এই দর্শনে থেকে রুটলেস হয়ে গেছে দলটি। যে যার মতো করে আখের গোছানোর কাজে ব্যস্ত। ত্যাগ স্বীকারের মনোভাব থেকে বের হয়ে আসছে তারা। অথচ জিয়াউর রহমান দুইবেলা খেতেন। আর আজকে বিএনপির নেতাদের অর্থের হিসাব নেই। গ্রেফতারের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। দল ও দেশের জন্য ত্যাগ স্বীকার করতে ভয় পাচ্ছেন। এভাবে একটি দল চলতে পারে না। এর থেকে উত্তরণ চান সাধারণ নেতাকর্মীরা।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। এরপর সেনাবাহিনীতে অভ্যুত্থান পাল্টাঅভ্যুত্থানের এক পটভূমিতে ওই বছরের ৭ নভেম্বর ক্ষমতায় চলে আসেন জিয়াউর রহমান। প্রথমে তিনি ১৯ দফা কর্মসূচির ভিত্তিতে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল (জাগদল)। পরবর্তীকালে ডান-বাম বিভিন্ন রাজনৈতিক মত ও পথের অনুসারীদের এক মঞ্চে এনে ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিতে রূপান্তরিত করেন। দল গঠনের মাত্র ৩ বছরের মাথায় ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রামে একদল বিপথগামী সেনা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে হত্যা করে। পরে দলের হাল ধরেন জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া। দলটির ৩৭ বছরের ইতিহাসে প্রায় ৩৪ বছর ধরে দলের চেয়ারপারসনের দায়িত্ব পালন করছেন খালেদা জিয়া। এ ছাড়া দেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন খালেদা জিয়া।

জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার পর দলটি প্রথমবারের মতো নেতৃত্ব সংকটে পড়ে। তৎকালীন উপ-রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আব্দুস সাত্তার দলের হাল ধরেন। ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ জেনারেল এরশাদের সামরিক অভ্যুত্থানে তিনি ক্ষমতাচ্যুত হন। বিচারপতি সাত্তারের ক্ষমতাচ্যুতির মাধ্যমে বিএনপির অস্তিত্ব সংকটে পড়ে। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদসহ বিএনপির অনেক নেতাই তখন জেনারেল এরশাদের সরকারে যোগ দেন। সংকটকালে ১৯৮৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বিএনপির হাল ধরেন খালেদা জিয়া।

জেনারেল এরশাদের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আপসহীন ভূমিকা ১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসে। এরপর ২০০১ সালে আবারও ক্ষমতায় আসে দলটি। বর্তমানে প্রায় ৯ বছর ধরে দলটি ক্ষমতার বাইরে। সর্বশেষ ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির সাধারণ নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি : দলের ৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ১ সেপ্টেম্বরে রাজধানীতে বর্ণাঢ্য র‌্যালির আয়োজন করেছে বিএনপি। এ ছাড়াও নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন সাংগঠনিক কর্মসূচি। সম্পতি রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মুখপাত্র ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, ‘দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ১ সেপ্টেম্বর ভোর ৬টায় নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশে দলীয় কার্যালয়গুলোতে দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। সকাল ১০টায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দলটির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে নিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন। এ সময় ওলামা দলের আয়োজনে বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।’

পরে বিকেল ৩টায় রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এক আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হবে। আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এ ছাড়া সারাদেশে অঙ্গ-সংগঠনগুলো বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নানা অনুষ্ঠান পালন করবে বলেও তিনি জানান।

 

 

চাঁদপুর টাইমস : এমআরআর/২০১৫