ভোক্তা পর্যায়ে ১২ কেজি সিলিন্ডারের তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম ৭৫ টাকা কমিয়ে জুলাই মাসের জন্য ৯৯৯ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। আজ সোমবার সন্ধ্যা থেকে এই দাম কার্যকর হবে। গত মাসে ১২ কেজি ওজনের এক বোতল এলপিজি সিলিন্ডার গ্যাসের দাম ছিল ১ হাজার ৭৪ টাকা।
আজ বিইআরসি কার্যালয়ে সংস্থাটির চেয়ারম্যান মো. নূরুল আমিন এলপিজি সিলিন্ডার গ্যাসের দাম নির্ধারণের ঘোষণা দেন। ঘোষিত নতুন দর আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে কার্যকর হবে বলে জানান তিনি। বিইআরসি ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে এলপিজি সিলিন্ডার গ্যাসের দাম নির্ধারণ করে দিয়ে আসছে।
এলপিজি তৈরির মূল উপাদান প্রোপেন ও বিউটেন মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়। তবে এলপিজির দাম নির্ধারণ করা হয় সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান আরামকোর প্রতি মাসে প্রকাশ করা প্রোপেন ও নিউটনের দামের ওপর। এলপিজির ১২ কেজি সিলিন্ডার সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় গৃহস্থালি রান্নার কাজে।
বিইআরসি প্রতি মাসে এলপিজি সিলিন্ডারের দাম নির্ধারণ করলেও সেই দামে এলপিজি গ্যাস না পাওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায় ভোক্তা পর্যায়ে।
বিইআরসির চেয়ারম্যান বলেন, এই মাসে প্রতি কেজি এলপিজির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে (মূসক/ভ্যাটসহ) ৮৩ টাকা ২১ পয়সা, যা গত মাসে ছিল ৮৯ টাকা ৪৮ পয়সা। প্রতি কেজি ৮৩ টাকা ২১ পয়সা ধরে বিভিন্ন আকারের এলপিজি সিলিন্ডারের দাম নির্ধারিত হবে।
বেসরকারি এলপিজির দাম কমলেও সরকারি কোম্পানির সরবরাহ করা এলপিজির দাম কমেনি।
অন্যদিকে গাড়িতে ব্যবহৃত অটো গ্যাসের দাম কিছুটা কমিয়ে জুলাই মাসের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি লিটার প্রায় ৪৬ টাকা ৫৯ পয়সা, যা গত দিন ছিল ৫০ টাকা ৯ পয়সা।
বাজারে সাড়ে পাঁচ কেজি থেকে শুরু করে ৪৫ কেজি ওজনের এলপিজি সিলিন্ডার গ্যাস পাওয়া যায়। দেশি-বিদেশি মিলিয়ে প্রায় এক ডজনেরও বেশি কোম্পানি এলপিজির ব্যবসায় আছে দেশের বাজারে।
সরকার গৃহস্থালিতে গ্যাসের সংযোগ বন্ধ করে দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্তের পর ঢাকাসহ বড় শহরগুলোতে এলপিজি সিলিন্ডার গ্যাসের ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলেছে। গ্রাহকদের প্রত্যাশা এলপিজি সিলিন্ডার গ্যাসের যেই দাম নির্ধারণ করা হয়, সেই দামে বাজার থেকে গ্যাস প্রাপ্তির নিশ্চয়তা যেন পাওয়া যায়।
টাইমস ডেস্ক/০৩ জুলাই ২০২৩