Home / খেলাধুলা / ১১ বছর পর টাইগারদের সাথে টেস্ট খেলতে বাংলার মাটিতে অস্ট্রেলিয়া
CRICKET-SRI-BAN
ফাইল ছবি

১১ বছর পর টাইগারদের সাথে টেস্ট খেলতে বাংলার মাটিতে অস্ট্রেলিয়া

১১ বছর পর আবারও বাংলার মাটিতে টেস্ট খেলতে নামল অস্ট্রেলিয়া। প্রথম দিনে পেন্ডুলামের মতো দুলেছে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ। মিরপুর টেস্টের প্রথম দিন শেষে বাংলাদেশকে অলআউট করেও তাই হাসতে পারছেন না স্টিভেন স্মিথ।

অন্যদিকে আবেগের কাছে-ধারেও না থাকা সাকিব আল হাসানকেও সংবাদ সম্মেলনে দেখা গেল আশাবাদী সুরে উত্তর দিতে। একটা ব্যাপারে নিশ্চিত, প্রকৃতির হস্তক্ষেপ না থাকলে এই ম্যাচে ফল আসছেই।

সৌম্য, ইমরুল আর সাব্বির যেন টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্তকে ভুল প্রমাণ করার মিশনে নেমেছিলেন। ১০ রানেই লোপাট ৩ উইকেট। বিশ্বের যেকোনো উইকেটে দিনের প্রথম ঘণ্টার ব্যাটিংয়ে উইকেট বাঁচানোই থাকে মূল লক্ষ্য। কামিন্সের ৩ উইকেটের তোপ সামলে তখন জুটি গড়েছেন দুই ‘৫০ টেস্ট খেলুড়ে’ তামিম ও সাকিব। চতুর্থ উইকেটের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৫৫ রানের জুটি গড়েছেন দুজনে। তখন মনে হচ্ছিল, ব্যাটিং করাটাই বোধ হয় সবচেয়ে সহজ কাজ।

কিন্তু সাকিব সে ভুল ভেঙে দিলেন, ‘বল কিন্তু প্রথম থেকেই ঘুরছিল। বিশ্বাস ছিল যে ওদের জন্য কাজটা কঠিন হবে। আমাদের লক্ষ্য ছিল আড়াই শর মতো করা। যেটা করতে পেরেছি। নাসির-মিরাজ ও শফিউলের ব্যাটিং খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’

সাকিব-তামিমের ব্যাটিং যখন ৩০০ রানের সুবাস দিচ্ছে, তখনই ম্যাক্সওয়েল তুলে নিলেন তামিমকে। একটু পর লায়ন বিদায় করলেন সাকিবকে। দুটি উইকেটের ধরনেই বোঝা গেল পিচ ভয়ানক পরীক্ষা নেবে ব্যাটসম্যানদের। নিয়েছেও তাই। এতটাই যে ২৬০ রানে অলআউট হওয়ার পর সাকিব-মিরাজরা প্রথম দিনেই তুলে নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার তিন উইকেট।

এতে প্রথম দিনকে সফল ভাবছেন সাকিব, ‘এটা রোমাঞ্চকর একটা ব্যাপার। আমরা চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত। আমরা জানতাম যে নয়টা ওভার পাব। এর মধ্যে উইকেট ফেলতে পারলে ভালো হতো। সেটাই হয়েছে। আমরা তাদের চাপে ফেলতে পেরেছি। এটা করতে পেরে এবং দলের সাড়া পেয়ে খুবই খুশি।’

ব্যক্তিগত দ্বৈরথে ঘি চড়িয়েছেন নিজেরাই। দুজনের ঘাড়েই আছে নিজ দলের স্পিন তথা এই টেস্টে বোলিং আক্রমণের ভার। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারকে টেস্ট ক্যারিয়ারের ২৪৮তম শিকার বানিয়ে রিচি বেনোকে ছুঁয়েছিলেন লায়ন। পরে তাঁকে ছাড়িয়েও গিয়েছেন সর্বকালের সেরা অস্ট্রেলিয়ান অফ-স্পিনার। আর শেষ বিকেলে ওয়ার্নার আর খাজাকে হারিয়ে ‘নাইটওয়াচম্যানে’র দায়িত্বে আসা লায়নকে রানের খাতাই খুলতে দেননি সাকিব।

উল্লাস আর গর্জন মিলিয়ে নিলে এই দ্বৈরথকে আর খাটো করে দেখার উপায় নেই। দিন শেষে ম্যাচের আগে করা লায়নের মন্তব্য মনে করিয়ে দিতে ভোলেননি সাকিব, ‘একটু তো চাপে থাকবেই (অস্ট্রেলিয়া)। কারণ উপমহাদেশে ওদের সাম্প্রতিক ফর্ম ভালো না। এ ছাড়া বাংলাদেশের উইকেট শ্রীলঙ্কা বা ভারতের চেয়ে আলাদা। ওরা কেউই বাংলাদেশে টেস্ট খেলেনি। সুতরাং যতই অনুশীলন করুক বা প্রস্তুতি নিক; সহজ নয় কিন্তু।’

তবে বাংলাদেশের দুশ্চিন্তা হয়ে এখনো উইকেটে আছেন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ। স্পিনারদের সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষাটা তিনিই নেবেন। সেটা সাকিব জানেন, অকপটে স্বীকারও করলেন, ‘অবশ্যই ওই সবচেয়ে বড় হুমকি। ও বিশ্বের এক বা দুই নম্বর ব্যাটসম্যান।

ওর রেকর্ডই ওর হয়ে কথা বলে। সর্বশেষ ও যখন ভারতের হয়ে খেলেছে, কয়েকটা সেঞ্চুরি করেছে। ওর মতো বিশ্বমানের ব্যাটসম্যানকে বোলিং করা বিরাট চ্যালেঞ্জ। ও-ই হলো এখন পর্যন্ত আমাদের বড় হুমকি।’

নিউজ ডেক্স
:আপডেট,বাংলাদেশ সময় ১১ :০০ পিএম, ২৭ আগস্ট ২০১৭,রোববার
ডিএইচ

Leave a Reply