দুই নবীর জীবনের উপর নির্মিত চলচ্চিত্র দেখে বদলে গিয়েছেন হ্যাপী ।
হ্যাপী থেকে আমাতুল্লাহ৷ ইসলামের পথে ফিরে আসা নায়িকা নাজনীন আক্তার হ্যাপীর জীবনের এই পরিবর্তন নিয়ে সাক্ষাৎকার নির্ভর বইটি এ মুহূর্তে তুমুল আলোচনায়৷ বইটির সহ-লেখক আবদুল্লাহ আল ফারুক। তার সঙ্গে কথা বলেছে অান্তজার্তিক গণমাধ্যম ডয়চে ভেলে৷
তিনি বলেন, চার মাস আগে হ্যাপী ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন যে, তার জীবনে যে পরিবর্তন এসেছে, তা নিয়ে তিনি একটি বই লিখতে চান৷ হ্যাপীর ফেসবুকের ফ্রেন্ডলিস্টে কোনো পুরুষ নেই৷ আমার স্ত্রী ছিলেন তার ফ্রেন্ডলিস্টে৷ তার মাধ্যমেই আমি হ্যাপী বা আমাতুল্লাহ’র সঙ্গে যোগাযোগ করি৷ এরপর একসময় আমাতুল্লাহ জানান যে, তিনি অসুস্থ, দেখা করতে পারবেন না৷ যদি সাক্ষাৎকার ভিত্তিক হয়, তাহলে বইটি লেখা যেতে পারে৷ আমরা এরপর সেভাবেই এগোই।’
সাক্ষাৎকার নেয়ার অভিজ্ঞতা কেমন ছিলো? এমন এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমার স্ত্রী যখন তার সাক্ষাৎকার নেন, তখন পরিপূর্ণ পর্দার ভেতরে, অর্থাৎ এক রুমে আমার স্ত্রী ও আরেক রুমে আমাতুল্লাহ ছিলেন৷ আমার স্ত্রী প্রশ্ন করেন, আমাতুল্লাহ উত্তর দেন৷ আর আমি ও আমাতুল্লাহ’র স্বামী আবদুল্লাহ ভাই আরেক রুমে ছিলাম৷ নিজেরা গল্প করছিলাম৷ আমাতুল্লাহ এতটাই ধর্ম মানেন যে, এতদিন আমি তার বাসায় গিয়েছি, তার রান্না খেয়েছি, কিন্তু কোনোদিন তার কন্ঠস্বর শুনি নি।’
তার এই পরিবর্তনের কারণ কী? আবদুল্লাহ আল ফারুক জানান, বইয়ের ১০৪টি প্রশ্নের অধিকাংশই এই বিষয়টি নিয়ে৷ আগের জীবনে তিনি সারাদিন শুটিং শেষে রাতে সাধারণত হিন্দি বা বলিউডের গান, নাটক এসব দেখতেন৷ একদিন হঠাৎ করে ইউটিউবে একটি ইরানি ছবি দেখেন হযরত ঈসা (আ.)-এর ওপর৷ এরপর তিনি হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ওপর আরেকটি ইরানি ছবি দেখেন৷ এগুলো তার মনে অনেক দাগ কাটে৷
তিনি জানিয়েছিলেন, সেই সময় তার জীবনে একটি বিশেষ অধ্যায় চলছিল, যার কারণে তার মন ভেঙে গিয়েছিলো৷ ভাঙা মনে এসব ছবি তাকে আরো বেশি মুগ্ধ করে৷ তখন তার উপলব্ধি হয়৷ এরপর তিনি সমস্ত ‘গুনাহর কাজ’ ছেড়ে ইসলামের পথে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেন৷
নিউজ ডেস্ক : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১০:৫০ এ.এম, ২৭ জুন ২০১৭,মঙ্গলবার
ইব্রাহীম জুয়েল