লাইফস্টাইল

হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ছিলেন প্রতিভাবান রাজনৈতিক সংগঠক

রাজনীতিক ও পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর জন্ম ১৮৯২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর জেলার এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে।

তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি (সম্মান) ও বিসিএল ডিগ্রি লাভ করেন। লন্ডনের গ্রেইজ ইন থেকে ব্যারিস্টার অ্যাট ল সম্পন্ন করে ১৯২০ সালে ইংল্যান্ড থেকে ভারতে ফিরে তিনি রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করেন। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ১৯২১ থেকে ১৯৫৮ সালের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভা ও পাকিস্তান গণপরিষদের সদস্য ছিলেন।

রাজনৈতিক জীবনে তিনি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত থেকেছেন। ১৯২৪ সালে কলকাতা করপোরেশনের ডেপুটি মেয়র, ১৯৩৭ সালের নির্বাচনোত্তর ফজলুল হক কোয়ালিশন মন্ত্রিসভার শ্রম ও বাণিজ্যমন্ত্রী, ১৯৪৩-১৯৪৫ সালে খাজা নাজিমউদ্দীন মন্ত্রিসভায় বেসামরিক সরবরাহ মন্ত্রী, ১৯৪৬-৪৭ সালে অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী, পাকিস্তান আমলে ১৯৫৪-৫৫ সালে মোহাম্মদ আলীর মন্ত্রিসভায় আইনমন্ত্রী এবং ১৯৫৬-৫৭ সালে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।

হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ছিলেন এক প্রতিভাবান রাজনৈতিক সংগঠক। প্রধানত তার সাংগঠনিক শক্তির সুবাদেই তৎকালীন ভারতের মোট ১১টি প্রদেশের মধ্যে মুসলিম লীগ শুধু বাংলায় সাফল্য অর্জন করে। ১৯৩৭-১৯৪৩ সালে বঙ্গীয় মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক থাকাকালে তিনি সমগ্র প্রদেশে দলকে সংগঠিত করার কাজে আত্মনিয়োগ করেন।

প্রকৃতপক্ষে তিনিই ছিলেন বাংলায় মুসলিম লীগের স্থপতি। বিভাগপূর্বকালে বাংলার মুসলমানদের পশ্চাৎপদতার কারণে তিনি তাদের জন্য পৃথক নির্বাচনের একজন গোঁড়া সমর্থক ছিলেন। কিন্তু পাকিস্তান সৃষ্টির পর তিনি জাতি-ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে একটি সাধারণ জাতীয়তা গড়ে তোলার জন্য যৌথ নির্বাচনের পক্ষে মত দেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে এ-সংক্রান্ত একটি বিল পাস হয়।

হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ১৯৬৩ সালের ৫ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।

বার্তা কক্ষ . ৮ সেপ্টেম্বর ২০

Share