Home / চাঁদপুর / চাঁদপুরে হোটেল-রোস্তারায় সসের নামে কি খাচ্ছি?
হোটেল
রং-ময়দার টমেটোর সস

চাঁদপুরে হোটেল-রোস্তারায় সসের নামে কি খাচ্ছি?

চাঁদপুর জেলার হোটেল-রোস্তারা, ফাস্টফুড, মিনি ফাস্ট ফুডসহ বিভিন্ন ছোট বড় খাবারের দোকানে খাবার সুস্বাদু করার জন্য দেওয়া হচ্ছে নিন্মমানের সস। যা মানবদেহের অনেক ক্ষতি হয় বলে জানালেন চিকিৎসকরা।

জেলাবাসীর স্বাস্থের কথা বিবেচনা করে চাঁদপুর জেলা প্রশাসন বাজার মনিটরিং এর মাধ্যমে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চাঁদপুর শহর ও শহরতলীর বিভিন্ন স্থানে শত-শত হোটেল ও রেস্টুরেন্টে সিংগারা, পুরি, চমুচা ও মোগলাই সহ বিভিন্ন ভাজাপোড়া জাতীয় খাদ্য সামগ্রীর সাথে সস্ দেওয়া হয়ে থাকে। এ সস্ খাদ্যের সাথে খেতে অনেক মজা ও সুস্বাধুু এবং ঝাল টক অনুভব হয়। যার ফলে সকল শ্রেণীর মানুষ ভাজা খাদ্যের সাথে সস্ খেতে পছন্দ করেন। ব

র্তমানে অধিক মুনাফার লোভে এক শ্রেণীর হোটেল ও রেস্টুরেন্ট মালিকরা খাদ্যের সাথে নিম্ন মানের সস্ দিয়ে থাকে। যা বিষাক্ত ক্যামিকেলে তৈরী সস্ বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।

চাঁদপুর শহরের পালবাজার, পুরানবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে বিগত দিনে এসব সস্ বিক্রি করার অপরাধে অনেক ব্যবসায়ীকে প্রশাসনিক ভাবে জরিমানা করা হয় এবং সতর্ক করে দেওয়া হয়। তারপরও একটি অসাধু চক্র প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করে পাল বাজার ও পুরানবাজারের কয়েকটি বড় আকারের পাইকারী ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এ বিষাক্ত সস্ বিক্রি করছে বলে কয়েকজন ব্যবসায়ী থেকে জানা গেছে।

আর এসব সস্ কুমিল্লার আশিয়ান ক্যামিকেল নামে একটি কোম্পানি দির্ঘদিন যাবত প্রস্তুত করে যাচ্ছেন। যা’ ৫লিটার এর একটি কন্ট্রিন পাইকারী মূল্য পূর্বে ছিল ১শ’ ৫০টাকা এবং বর্তমানে তার মূল্য নির্ধারন করা হয়েছে ১শ’ ৭০ টাকা। পাল বাজারে বিক্রি হয় ১শ’৫০ থেকে ২শ টাকায়। পুরানবাজারে পালবাজার থেকে আরো কমদামে বিক্রি হয় বলে প্রবীন একজন ব্যবসায়ী জানান।

সস্ তৈরীর একজন কারীগর জানান, বিষাক্ত এই সস্ তৈরী করা হয় ময়দা, পানি, র ও ক্যামিকেলের মাধ্যমে। যা’ বিষাক্ত ও মানবদেহের জন্য মারাত্মক ঝুকিপূর্ণ খাদ্য।

আড়াই’শ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের (আরএমও) ডাঃ সূজাউদ্দোলা রুবেল চাঁদপুর টাইমসকে জানায়, নিন্মমানের সসে বিষাক্ত ক্যামিক্যাল ও রং ব্যবহার করা হয়। যা মানবদেহের অনেক ক্ষতি হয়ে থাকে। নিন্মমানের সস দীর্ঘদিন খাওয়ার ফলে কিডনি, লিভার ও পাকস্থলিতে মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়া গ্যাস্টিক, গ্যাস্টিক আলসার, জন্ডিসসহ নানা রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

চাঁদপুর জেলা (কনজিওমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) ক্যাব সদস্য বিপ্লব সরকার জানায়, সসের উপর একাধিক অভিযান ও সর্তক করে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে টমেটোর কোন অস্তিত নেই। অনেকে ভুয়া বিএসটিআই সিল ব্যবহার করে থাকে।

নাম প্রকাশে অনিশ্চুক এক হোটেল ব্যবসায়ী জানায়, প্রানের ১ লিটার সসের দাম ১শ’৫০ টাকা। আর আসিয়ানের ৫লিটার সস ১শ’৫০ টাকা। ভাল খারাপ বিচারের দায়িত্ব আমার নয়। কমদামে পণ্য পাচ্ছি তাই মানুষকে খাওয়াচ্ছি। আর মানুষ তো খাচ্ছে। তাদের কোন অভিযোগ নেই।

চাঁদপুর জেলা মার্কেটিং অফিসার এন এম রেজাউল ইসলাম বলেন, নিন্মমানের খাবার ও খাদ্যে ভেজাল রোধে জেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আমরা সসের উপর বেশ কয়েকবার অভিযান পরিচালনা করেছি এবং সর্তক করে দিয়েছি। সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

সিনিয়র স্টাফ করেসপন্ডেট,১৮ মার্চ ২০২১