চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছোট ভাইয়ের বউয়ের ওপরে হামলা করেছে বড় ভাই গফুর বেপারী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় চাঁদপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার ৯নং গোবিন্ধপুর ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যেক্তা হিসাবে কাজ করে সিরাজ বেপারীর ছেলে মিলন বেপারী।
১১ জুন শুক্রবার সকালে বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের জন্য বিদ্যুৎ অফিস থেকে লোক আসে বিল পরিশোধ করার জন্য না হয় লাইন কেটে দিবে। এসময় মিলনে স্ত্রী সুমি আক্তার বিদ্যুৎ বিল চাইতে গেলেন মিলনের বড় ভাই গফুর বেপারীর কাছে। বকেয়া বিদ্যুৎ বিল নিয়ে উভয় পক্ষের মাঝে কথা কাটা কাটি হয়।
এ পর্যায়ে গফুর বেপারী ক্ষিপ্ত হয়ে ছোট ভাই মিলনের স্ত্রী সুমি আক্তারকে হাতে থাকা মাটি কাটার বেইল্চা দিয়ে মাথায় সজরে আঘাত করে। আঘাতের সাথে সাথে সুমি অঞ্জান হয়ে মাটি পড়ে গেলেও ক্ষ্যান্ত হয়েনি গফুর। মাটিতে পড়ে থাকায় অবস্থায় গফুর হাতের বেইল্চা দিয়ে মাথায় বার বার আঘাত করতে থাকে সুমিকে।
পরে বাড়ির লোকজন তাকে বাঁচাতে গেলেও তাদের উপর আঘাত করে গফুর। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
বাড়ির লোকজন বলেন, গফুরের স্ত্রী ও মিলনের স্ত্রী মধ্যে প্রায় সময় ঝগড়া লেগে থাকতো। কিন্তু গফুর যে কাজ করেছে আজ যদি আমারা বাঁধা না দিতাম তা হলে মিলনের স্ত্রী সুমি কে বাঁচানো অসম্ভাব হতো। গফুর কাজটা ঠিক করেনি।
আহত সুমির স্বামী মিলন বলেন, আমার বড় ভাই গফুর মিয়া তার ঘরের মিটার নাই আমার ঘর থেকে সাইড লাইন নিয়ে সে বিদ্যুৎ ব্যবহার করে। গত ৭ মাস সে বিল দেয়না সে। বকেয়া বিলের জন্য বিদ্যুৎ অফিস থেকে লোক আসছে মিটারের লাইন কেটে দিবে। আমার স্ত্রী সুমি তাদের কাছ থেকে বিল চাইতে গেলে তারা আমার স্ত্রীকে প্রানে মেরে পেলার জন্য এই ভাবে মারধর করেছে। আমি তার বিচার চাই।
এদিকে বাড়িতে গফুর ও তার স্ত্রী কাউকে পাওয়া যায়নি। ঘরে তালা মারা অবস্থায় দেখা গিয়েছে।
স্থানীয় লোকজনকে জিঞ্জাসা করলে তারা বলেন, মারামারির পরে সে বাড়ি থেকে পালিয়েছে।
এবিষয়ে ইউপি সদস্য সাত্তার বলেন, আমি ঘটনাটি শুনে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি বিভিন্ন স্থানে রক্ত লেগে থাকতে দেখেছি। আমি বাড়ির লোকজন দের জিঞ্জাসা করলে তারা ঘটনাটি আমাকে বলে। শুনে খুব খারাপ লাগলো গফুর এই কাজ করেছে। আমি চাই সঠিক তদন্ত করে বিচার হোক।
এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াদিন রয়েছে বলে মিলন জানান।
প্রতিবেদক:শিমুল হাছান,১১ জুন ২০২১