হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করলেন কাজি হায়াৎ

chandpur times:

বড় পর্দার নামকরা পরিচালেকদের অন্যতম একজন মুভি মোগল খ্যাত কাজী হায়াৎ ।বাংলা চলচ্চিত্রকে উপহার দিয়েছেন অনেক ব্যবসা সফল ছবি। বর্তমানে তার ক্যারিয়ারে নতুন একটি মাইলফলক যোগ হতে যাচ্ছে। তিনি নির্মাণ করতে যাচ্ছেন ক্যারিয়ারে অর্ধশততম চলচ্চিত্র। কাজী হায়াতের ৫০তম চলচ্চিত্রের নাম ‘ছিন্নমূল’। ছিন্নমূল ছবিতে নায়ক নায়িকা হিসেবে অভিনয় করবেন কাজী মারুফ ও অরিন। এছাড়া কাজী হায়াৎও এ ছবির মূল ভূমিকায় অভিনয় করবেন। ছবির গল্প ও চিত্রনাট্য লিখেছেন কাজী হায়াৎ। ‘ছিন্নমূল’ ছবিটি যৌথভাবে প্রযোজনা করছে মাল্টিমিডিয়া প্রোডাকশন ও কাজী মারুফ ফিল্মস। এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে এফডিসির ৮ নম্বর ফ্লোরে আইটেম গানের শ্যুটিং এর মাধ্যমে শুরু হবে ছিন্নমূল এর যাত্রা। এরপর নরসিংদীতে কক্সবাজারের বিভিন্ন লোকেশনে ছবিটির চিত্রধারণ করা হবে।

ছবির গল্প সম্পর্কে কাজী হায়াৎ বলেন, ‘আমার অন্যান্য ছবির মতো এই ছবির গল্পটিও সামাজিক অসঙ্গতিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে। এখানে গল্পের নায়কের জন্ম হয় গোয়ালন্দের পতিতা পল্লীতে। সেখানেই তার বেড়ে উঠা। কিন্তু পিতৃপরিচয় না থাকার কারণে সে ভোটার হতে পারে না। এ থেকেই এদেশের প্রতি তার এক ধরনের ঘৃণা জন্ম নেয়। এছাড়া এ ছবিতে আরেকটি দৃশ্য তুলে ধরা হবে ওই এলাকোর লোকজন যখন তাদের এলাকা থেকে বাইরে বেড়িয়ে আসে তখন খালি পায়ে আসে। এমনকি তারা মুসলিম হওয়া সত্বেও তাদের মৃত্যুর পর পানিতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। এভাবেই ছবিটির গল্প চলতে থাকে বাকীটা দর্শক হলে গিয়ে দেখবে বলে আশাকরি।’

ক্যারিয়ারের ৫০তম চলচ্চিত্র নির্মাণ করছেন নতুন কি ভাবছেন বাংলা চলচ্চিত্র নিয়ে এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘কখনও কিছুই ভাবিনা না, ছবি বানানোর জন্যই বানাই। তবে সবসময়ই চেষ্টা করি নতুন ও ভিন্নধর্মী কিছু করার জন্য। যারা আমার চলচ্চিত্রের দর্শক তারা আমার কাছে যেরকমটি প্রত্যাশা করে আমি চেষ্টা করি তাদের জন্য নতুন কিছু গল্প একটু ভিন্ন আঙ্গিকে তুলে ধরার জন্য।’

তিনি আরও বলেন, সবমিলিয়ে আমার চলচ্চিত্র অঙ্গনের ক্যারিয়ার বেশ ভালোই ছিলো। তারপরও কোন মানুষই তৃপ্ত নয়। চলচ্চিত্র অঙ্গনে এসে অনেক মানুষের কাছ থেকে অনেক বেশী ভালোবাসা পেয়েছি। এছাড়া প্রথম চলচ্চিত্র যখন নির্মাণ করি তখনকার উতৎসাহ আর এখন ৫০তম চলচ্চিত্র নির্মাণের উৎসাহ আর একরকম নেই।’

কাজী হায়াৎ পরিচালিত বেশকিছু জনপ্রিয় ছবির মধ্যে রয়েছে খোকন সোনা, রাজবাড়ী, বেরহম, দায়ী কে, যন্ত্রণা, দাঙ্গা, ত্রাস, দেশ প্রমিক, সিপাহী, চাঁদাবাজ, দেশদ্রোহী, তেজি, আম্মাজান, কাবুওয়ালা ও ইতিহাস অন্যতম। ১৯৪৭ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি গোপালগঞ্জ জেলায় অবস্থিত কাশিয়ানী উপজেলার ফাকরা ইউনিয়নের তারাইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তিনি ১৯৭৪ সালে পরিচালক মমতাজ আলীর সাথে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন। এরপর ১৯৭৬-১৯৭৭ সালে বিখ্যাত চলচ্চিত্রকার আলমগীর কবিরের সাথে সীমানা পেরিয়ে ছবিতেও সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন। ১৯৭৯ সালে দি ফাদার ছবিটি পরিচালনার মধ্যে দিয়ে পূর্ণ-পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। তিনি তাঁর বেশিরভাগ ছবিতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সমসাময়িক জনদুর্ভোগের চিত্র ফুঁটিয়ে তোলেন।

উল্লেখ্য, কাজী হায়াতের পরিচালনায় সর্বশেষ ‘সর্বনাশা ইয়াবা’ নামে একটি ছবি মুক্তি পেয়েছিলো। সূত্র- বাংলামেইল

Share