চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকদের সেবার মান বৃদ্ধি পাওয়ায় গত এক বছর যাবৎ রোগীদের উপস্থিতি বেড়েই চলছে। রোগী বাড়ার পাশাপাশি হাজীগঞ্জের প্রাইভেট হাসপাতাল গুলোর নিয়োগকৃত দালালদেরও সংখ্যা বাড়ছে। এতে চিকিৎসা সেবা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়। যেন কোন ভাবেই কমছেনা দালালদের দৌরাত্ম্য।
কয়েকদিন পূর্বে হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি(চাঁদপুর -৫) আসনের সাংসদ ও হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মেজর অবঃ রফিকুল ইসলাম বীর উত্তমের সভাপতিত্বে আয়োজিত মাসিক সভায়ও বিষয়টি তুলে ধরেন হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. গোলাম মাওলা নাঈম। তিনি ওই সময় বিষয়টি সমাধানে রাজনৈতিক ও সুশীলসমাজের নেতৃবৃন্দের সহযোগীতা কামনা করেন। তথাপী অদ্যাবধি বিষয়টির কোনো সমাধান না হওয়ায় রোগীরা হয়রানির শিকার হচ্ছে বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন চিকিৎসক।
অনুসন্ধানে হাসপাতালের কয়েকজন চতুর্থশ্রেণীর কর্মচারীদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, হাজীগঞ্জ বাজারস্থ লাইফ এইড হাসপাতাল থেকে আলেয়া, হৃদয় ও সাইফুল, আরিয়ানা হাসপাতাল থেকে রেহানা, দুলাল ও সবুজ, মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতাল থেকে ফাতেমা আক্তার রেখা, নিশাত হসপিটাল থেকে রতন, শাহজাহান মেমোরিয়াল হাসপাতাল থেকে আমির হোসেনকে দালাল(মার্কেটিং) হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। উল্লেখ্য, পরবর্তী অনুসন্ধানে আরও কিছু দালালের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যেতে পারে বলে তথ্য রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন দালাল জানায়, আমরা পেটের দায়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের চাপে এই কাজ করতে বাধ্য হচ্ছি।
হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা. মোঃ জামাল উদ্দীন জানান, আমরা দালাল প্রতিরোধে চেষ্টা করছি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চিকিৎসার সময় আমার চেম্বারে কোনো দালাল মেয়ে থাকে না।
হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোঃ গোলাম মাওলা নাঈম চাঁদপুর টাইমসকে জানান, আমরা দালালদের বিষয়ে জিরো টলারেন্স। এই বিষয়ে উপজেলা ও থানা প্রশাসনের সহযোগীতা চাই। সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে সাংবাদিকদেরও সহযোগীতা চান তিনি।
হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রাশেদুল ইসলাম তানজীর জানান, মাসিক সাধারণ সভায় আলোচনা হয়েছে। আমরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে দ্রুত ব্যবস্থা নিবো।
প্রতিবেদক:জহিরুল ইসলাম জয়, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩