হাজীগঞ্জ সদরে ঘরবন্দী প্রায় ২ হাজার মানুষ

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলা সদর ইউনিয়নের জনগুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ রাস্তায় একটু বৃষ্টি হলে যেন হাটা দায়। বর্তমান সরকারের এতো উন্নয়নমূলক কাজ হলেও এসব রাস্তায় তেমন কোন উন্নয়নের ছোয়া দেখতে পায়নি স্থানীয় বাসিন্দারা। তাদের ক্ষোভ আর কত দুর্ভোগ প্রহালে টনক নড়েচড়ে বসবে জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের।

যেখানে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গিকার হচ্ছে “গ্রাম হবে শহর” সেখানে মনে হয় এই মহল্লার জনগোষ্ঠীরা রোহিঙ্গা বা বিহারি ক্যাম্পে আশ্রিত কোন মানুষ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাজীগঞ্জ উপজেলার ৫নং সদর ইউনিয়ন ৩নং ওয়ার্ডের সুহিলপুর পশ্চিম পাড়া সরকার বাড়ীর মোড় থেকে দক্ষিণে মজুমদার বাড়ী হয়ে হিন্দু- মুসলিম সম্প্রদায়ের একত্রে চলাচলরত ছাড়া বাড়ী পর্যন্ত রাস্তাটি যেন মরণফাঁদে পরিনত হয়েছে । এই পথটুকুর মাঝে গ্রামে ৬/৭ বাড়ীর প্রায় ২ হাজার মানুষের বসবাস।গ্রামের মাঝামাঝি স্থানে রাস্তার পশ্চিম পাসে দো’তলা বিশিষ্ট একটি মসজিদ রয়েছে, যেখানে বৃষ্টি হলেই নামাজের সময় মুসুল্লিরা মসজিদে যাইতে পারছেনা। শিশু, কিশোর-কিশোরিরা বিদ্যালয়ে যাওয়ার সময় অসংখ্য দুর্ঘটনার স্বীকার হয়। এমন পড়ে যাওয়ার দৃশ্য অহর অহর ঘটে আসছে যা অত্যন্ত দুঃখজনক বলে মনে করছেন বাসিন্দারা । মানুষ তাদের নিত্যপণ্য মালামাল নিয়ে বাড়ীতে যাইতে পারছে না। এসব বাসিন্দাদের লজ্জার বিষয় হচ্ছে এলাকায় বিনদেশি কোন অতিথি আসলে বলে যে এই এলাকায় কি সরকারের কোন প্রতিনিধি নাইনি। বিশেষ করে কোন মা-বোনকে ইমার্জেন্সি হাসপাতালে নিতে হলে খুব ঝামেলায় পোহাতে হয়। আমরা মহল্লাবাসী এই সীমাহীন দুর্ভোগ থেকে মুক্তি চাই, আমরা নির্দিষ্ট উন্নত পাকা রাস্তা চাই।

স্থানীয় বাসিন্দা জাহিদুল ইসলাম গাজী বলেন, বর্তমান সরকারের চলমান উন্নয়নে আমাদের এ সুহিলপুর গ্রামের কাঁচা রাস্তাটি কোন কাজ হয়নি। অথচ ভোটের সময় জনপ্রতিনিধিরা পাকা করনের উদ্যোগ নিবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসে। গ্রামের মানুষের এমন দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে গ্রামবাসীর পক্ষে জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সু-দৃষ্টি কামনা করছি। 

স্থানীয় ইউপি সদস্য হেলাল উদ্দিন বলেন, গত বছর এ রাস্তায় মাটি কাটা হয়েছে। তবে গ্রামবাসীর দুর্ভোগ লাগবে আমাদের চেয়ারম্যান সাহেব পাকা করণের উদ্যোগ গ্রহণ করছেন বলে জানান, এ জনপ্রতিনিধি।

হাজীগঞ্জ ৫ নং সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউসুফ প্রধানীয়া সুমন বলেন, আমাদের গ্রামীণ রাস্তা পাকা করণের জন্য ইতিমধ্যে কয়েকটি রাস্তার নাম্বার উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার অফিসে দেয়া আছে। তারপরেও মানুষের চলাচলের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনে সরেজমিনে যাবো।

প্রতিবেদক: জহিরুল ইসলাম জয়,১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

Share