পবিত্র ঈদুল আযহাকে কেন্দ্র করে ঢাকা থেকে চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে আসা যাত্রী সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। আর এ সুযোগ কাজে লাগাতে শুর করেছে একটি সংঘব্ধ সিন্ডিকেট চালকচক্র।
তারা যাত্রীদের পকেট কাটার জন্য এখন পুরোপুরি প্রস্তুতি নিয়ে আছে। এ অবস্থায় প্রশাসনের অধিক তত্ত্বাবধান প্রয়োজন বলে মনে করছেন ভুক্তভোগীরা।
শনিবার (১৮ আগস্ট) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চাঁদপুর লঞ্চঘাটে গিয়ে দেখা যায়, ঘাট আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রনে পুলিশের পাশাপাশি কাজ করছে স্কাউট সদস্য ও কোস্টগার্ড।
যাত্রী নিয়ন্ত্রনে পুলিশ ও স্কাউট সদস্যরা কাজ করলেও চালক নিয়ন্ত্রণ করা খুবই দূরহ ব্যাপার। কারণ তারা লঞ্চ থেকে যাত্রীরা নামলেই দু’শ টাকার ভাড়া হাকছে ১৪ শ’ টাকা। কোন কোন ক্ষেত্রে আরো বেশিও। তাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করা খুবই কঠিন হয়ে পড়ছে। তাদের সাথে স্থানীয় দালাল চক্র জড়িত রয়েছে।
দুপুর ১২টার দিকে ঘাটে উপস্থিত চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদ জামান ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবু রহমান।
এ সময় তারা যাত্রীদের সাথে কথা বলেন এবং যেসব যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে তাদেরকে অন্য গাড়িতে তুলেদেন। এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সিএনজি অটোরিকশা চালকদের কাগজপত্র সঠিক না থাকায় এবং অতিরিক্ত ভাড়া দাবী করায় একাধিক চালককে জরিমানা করেন।
এ ঘটনার পর সংঘবদ্ধ চালকচক্র গাড়ী বন্ধ রাখার জন্য চেষ্টা করেন। পরে আবার অবস্থা বুঝে পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসেন।
কয়েকজন যাত্রী জানান, স্বাভাবিক ভাড়া ২শ’ টাকা। কিন্তু আমাদের কাছ থেকে চালকরা দাবি করছেন ৮শ’ টাকা। এটি বড় ধরনের অন্যায় কাজ। এটি শুধুমাত্র এই ঈদে নয়, সব সময় চালকদের কাছে আমাদের জিম্মি হয়ে থাকতে হয়।
প্রতিবেদক- মাজহারুল ইসলাম অনিক