হাজীগঞ্জ

হাজীগঞ্জ-রামগঞ্জ বাইপাস সড়কে পানি : যান চলাচলে সীমাহিন দুর্ভোগ

চাঁদপুরে হাজীগঞ্জ রামগঞ্জ দুই উপজেলার ব্যস্তময় সড়কের ফকির বাজারে নব-নির্মিত ব্রিজের বাইপাশ সড়কের উপর বর্ষার পানি থই থই করছে। নব-নির্মিত ব্রিজের ঠিকাদার কিংবা সওজ বিভাগের পক্ষ থেকে এখ পর্যন্ত সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহন না করায় যানবাহন চলাচলে সিমাহীন দূর্ভোগ প্রহাতে দেখা যায়।

জানা যায়, যায়, হাজীগঞ্জ রামগঞ্জ সড়কের মধ্যবর্তী ফরিদগঞ্জ উপজেলার ফকির বাজার নামক স্থানে পূর্বে ছিল বেলী ব্রিজ। ২০১৮ সালে বেলী ব্রিজ ভেঙ্গে প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যায়ে নতুন সেতুর কাজ শুরু করেন রামগঞ্জ উপজেলার জহির নামে এক ঠিকাদার। কিন্তু পূর্বেই সড়ক বিভাগের বাই রোটেশন থাকায় ঠিকাদার সেই খরচ থেকে বেচেঁ যায়। এরই মধ্যে ব্রিজের প্রায় ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হলেও বাইপাশ সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে হচ্ছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাজীগঞ্জ রামগঞ্জ সড়কের নব-নির্মিত ব্রিজের চলমান কাজের পূর্ব পাশে বাইপাশ সড়কের উপর ছোট বড় একাধিক গর্ত। বর্ষার পানিতে গত প্রায় এক মাস ধরে সড়কটি ডুবে যাওয়া দুই পাশের শত শত গাড়ী পারাপারে ঘন্টার পর ঘন্টা চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।

সড়কে চলাচলরত ড্রাইভার ও একাধিক যাত্রী দুর্ভোগের কথা তুলে ধরে বলেন,আমরা পুরো সড়কের এক মাত্র ফকিরবাজার নামক স্থানে বাইপাশ সড়কে চরম দূর্ভোগ প্রহাতে হচ্ছে। সড়কটি বর্তমানে প্রায় দুই থেকে তিন ফুট পানির নিচে দেবে গেছে। বিশেষ করে মাইক্রো ও সিএনজি গাড়ী পারাপার হতে গিয়ে যাত্রীরা পর্যন্ত পানিতে ডুবে যায়। এ দূর্ভোগের কোন খোজ মনে হয় রাখেনা ব্রিজের ঠিকাদার কিংবা সড়ক বিভাগ। আমরা এ দূর্ভোগ থেকে পরিত্রান চাই।

স্থানীয় হাসান, জাহাঙ্গীর বেপারী, ইউসুফসহ কয়েকজন জানান, হাজীগঞ্জ ফরিদগঞ্জ ও রামগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী স্থানে ব্রিজের কাজ চলমান থাকায় বিষয়টি জনপ্রতিনিধি বা সরকারের উচ্চপদস্ত কর্মকর্তাদের নজরে আসছেনা। গত কয়েক মাস পূর্বে ব্রিজের চাঁদ ঢালাই শেষে নিচের অংশের সাটার উঠানোর পর পরই অভিরাম বৃষ্টিতে প্লাষ্টার ধসে পড়তে দেখে দেয়। আস্তর ধসে পড়ায় রড দৃশ্যমান হয়ে পাটল দেখা দিয়িছে। আর এ দৃশ্য বাইপাশ সড়ক থেকে পরিস্কার দেখা গেলে পরবর্তীতে লেপচেপ দিয়ে ডেকে দিয়েছে।

এ চলমান দূর্ভোগের বিষয়ে ঠিকাদারের কোন লোকের বক্তব্যে জানা সম্বভ না হলেও সড়ক ও জনপদ বিভাগের হাজীগঞ্জ সার্কেলের নিয়োজিত কর্মকর্তা উচ্চমান সহকারী মো.শাহআলম বলেন, ব্রিজের কাজ শেষ পর্যায়। আগামি কয়েক মাসের মধ্যে ব্রিজ উদ্বোধন হলে এ সমস্যা থাকবে না। তবে ইতিপূর্বে আমরা ইটের কণা ও বালু ফেলেছি। বৃষ্টি ও বর্ষার পানিতে যানবাহন চলাচলে সাময়িক অসুবিধা সৃষ্টি হয়েছে।

প্রতিবেদক:জহিরুল ইসলাম জয়,২৭ আগস্ট ২০২০

Share