Home / উপজেলা সংবাদ / হাজীগঞ্জ ডিগ্রী কলেজে পরীক্ষার্থীদের ভাংচুর
হাজীগঞ্জ ডিগ্রী কলেজে পরীক্ষার্থীদের ভাংচুর

হাজীগঞ্জ ডিগ্রী কলেজে পরীক্ষার্থীদের ভাংচুর

হাজীগঞ্জ ডিগ্রী কলেজ এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে হাজীগঞ্জ মডেল ইউনিভার্সিটি কলেজের এইসএসসি পরীক্ষার্থীরা বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) ব্যাপক ভাংচুর চালিয়েছে।

এ সময়  কলেজের আশে-পাশের বাড়ী ঘরেও ভাংচুর চালিয়েছে তারা।  হাজীগঞ্জ ডিগ্রী কলেজে ও মডেল ইউনিভার্সিটি কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের এইচএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র কলেজটিতে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা এইচএসসি পরীক্ষার বিভিন্ন গ্রুপের গ্রুপ ভিত্তিক পরীক্ষা চলছিল। পরীক্ষার শেষ পর্যায়ে’ ৫ মিনিট পূর্বে পরীক্ষার খাতা নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে ছাত্র-ছাত্রীরা কলেজে ব্যাপক ভাংচুর চালায়।

ছাত্র-ছাত্রীরা অভিযোগ করেন, পরীক্ষা চলাকালিন সময়ে হাজীগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের অভিভাবক প্রতিনিধির সদস্য ও শিক্ষকরা পরীক্ষা কেন্দ্রের আভ্যন্তরে চলা-ফেরা করে তাদের পরীক্ষার মারত্মক ক্ষতি সাধন করে।

পরীক্ষা চলাকালিন সময়ে মডেল ইউনিভার্সিটি কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের ফেল করানোর জন্য কিছু সংখ্যক কথিত শিক্ষক উঠেপড়ে লেগেছে এসব কারণেই এমন তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে বলে জানান এক আন্দোলনকৃত শিক্ষার্থীরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন পরীক্ষার্থী জানান, আমারা শুনি প্রতিদিন কে-বা-কারা বোর্র্ডের চেয়ারম্যান, জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন জায়গায় ফোন করে বলে হাজীগঞ্জ মডেল ইউনিভার্সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা নকল করে বলে অভিযোগ।

অথচ হাজীগঞ্জ ডিগ্রী কলেজে যে, পরীক্ষা দেয়, সে বলাখাল ডিগ্রী কলেজে প্রতিদিনই নকল হয়। অথচ আমাদের এখানে একদিনও নকল ধরা খায়নি। কেউ বহিস্কারও হয়নি। তারা প্রশ্ন রেখে বলেন, তাহলে কেন এ অপ-প্রচার।

বিজ্ঞান বিভাগের এক ছাত্রী অভিযোগ করে বলেন, হাজীগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র বলাখাল মকবুল আহমেদ ডিগ্রী কলেজ ও বলাখাল জেএন স্কুল এন্ড কলেজ । সেখানে নকল সরবরাহের দায়ে ১জনকে আটক করে ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে মর্মে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। অথচ মডেল ইউনিভার্সিটি কলেজের বিরুদ্ধে কিছু লোক অপ-প্রচারে লিপ্ত রয়েছে।

হাজীগঞ্জ ডিগ্রী কলেজ কেন্দ্রের হল সুপার অধ্যাপক বেনজির আহমেদ জানান, কি হয়েছে আমি ঠিক বলতে পারছিনা। তবে পরীক্ষার হলের খাতা সঠিক সময়ে নেয়া হয়েছে। করো হাতের ঘড়ি সময়ের আগ-পেছ হতে পারে।

পরীক্ষার হলের দায়িত্বরত অফিসার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বলেন, সঠিক সময়ে খাতা নেয়া হয়েছে।

ডিগ্রী কলেজ কেন্দ্রে মডেল ইউনিভার্সিটি কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের ভাংচুরের খবর পেয়ে সেখানে হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ মুর্শিদুল ইসলাম, হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শাহ্ আলম (এলএলবি) বিজিবি নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। বিজিবি’র আশার খবর পেয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা মিছিল নিয়ে কলেজ ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন।

এর পূর্বে মসজিদের মাইকে কলেজ ভাংচুরের ঘোষণা করার অভিযোগ পাওয়া যায়। এতে পরীক্ষার্থীদের মাঝে আরো উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ঠিক কে কি উদ্দেশ্যে মসজিদের মাইকে ঘোষণা করেছে তা কেউ বলতে পারেনি।

অপর দিকে ঘটনার শোনার সাথে সাথে সেখানে এসে উপস্থিত হন হাজীগঞ্জ মডেল ইউনিভার্সিটি কলেজের অধ্যক্ষ ড. আলমগীর কবির পাটওয়ারী।

ভাংচুরের ঘটনায় হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ কর্তৃপক্ষের সংবাদ সম্মেলন (নিউজটি পড়তে ক্লিক/টাচ করুন)

: আপডেট ১০:৫৯  পিএম, ২১ এপ্রিল  ২০১৬, বৃহস্পতিবার

ডিএইচ

Leave a Reply